Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একের পর এক টার্গেট কিলিং নিরাপত্তাহীনতায় খুলনাবাসী

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ে খুলনায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। খুলনায় হঠাৎ করেই টার্গেট কিলিং বেড়ে যাওয়া চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সর্বস্তরের মানুষ। যদিও পুলিশ বলছে, এটাকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলা যাবে না। তবুও স্বস্তিতে নেই খুলনাবাসী। এ বছরের এপ্রিল মাসে খুলনায় পাঁচটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আর মে মাসের শেষদিকে ও জুনের শুরুর গত কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনটি গুলিবিদ্ধের, একটি কুপিয়ে হত্যা ও মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ছয়টি হত্যাকান্ডে ঘটনা ঘটেছে খুলনায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নগরীর ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি ইকবাল সরোয়ার গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। নগরীর ১নং বয়রা ক্রস রোড এলাকায় ধারালো বটির কোপে শেখ মোস্তাক আলী ওরফে হোন্ডার ফকির (৬৪) কে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৩৬) ও ছেলে রাস্তি শেখ (২২)। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকায় আঠারোবেকি নদীর ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বস্তাবন্দি মস্তকবিহীন অজ্ঞাত একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে, গত বুধবার সকালে নগরীর আড়ংঘাটা বাইপাস সড়কের আকমানের মোড়ের পাশে খাল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছিল। তারআগে, গত ২৫ মে রাত ১০টার দিকে বাড়ীর সামনে ব্যক্তিগত অফিসে অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নওশের আলীসহ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু।
সূত্রমতে, আঠারোবেকি নদীর মস্তকবিহীন এবং আড়ংঘাটা বাইপাস রোডের গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত লাশের এখনো পরিচয় পায়নি পুলিশ। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নগরীর ৫নং ওয়ার্ডেও সভাপতি ইকবাল সারোয়ারের খুনীদের পুলিশ এখনো সনাত্মক করতে পারেনি। জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তার দেহরক্ষী হত্যাকান্ডের মূল আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ পরিবার ও বিএনপির। ফলে আতঙ্কিত খুলনাবাসী।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্যা বলেন, টার্গেট কিলিং হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলা সমুচিত হবে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি মূল্যায়িত হল- একের পর এক চুরি, ডাকাতি ও দস্যুতা বৃদ্ধি পেলে। হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলো নিয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করা হচ্ছে; খুব শিগগরিই সকল হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে সম্ভব হবে।
কেএমপি’র উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আব্দুল্লাহ আরেফ বলেন, ‘আমার এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভাল। যে কোন ধরনের অপরাধ এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
খুলনা জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ সফিউল্লাহ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিনসহ ডাবল হত্যাকান্ডের মোটিভ এখন পরিষ্কার। বাকী হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ