Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মমিনুল ইসলাম মুন, তানোর থেকে : রাজশাহীর তানোরে স্যালোইঞ্জিন দ্বারা তৈরী অবৈধ ভটভটি ও ট্রলির অনিয়ন্ত্রিত যত্রতত্র চলাচলের কারণে উপজেলার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক যানবাহন চলাচলে প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে বারবার সড়কগুলো সংস্কার করা হলেও সড়কগুলো টেকানো যাচ্ছে না। ফলে যানবাহন চলাচল বিঘিœত হচ্ছে আর জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়ছে। আবার আইনপ্রয়োগ না থাকায় ৭ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যানবাহন দ্বিগুন পরিমাণ মালামাল বোঘাই করে অনায়াসে গ্রামীণ সড়কে চলাচল করছে। এছাড়াও ইঞ্জিন চালিত ট্রলিতে গ্রামীণ রাস্তায় ১০০ থেকে দেড়শ মণ মালামাল বহন চলছে বিনা বাধায়। উপজেলা সড়কের মধ্যে তানোরের মুন্ডুমালা-আমনূরা ৮ কিলোমিটার, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়কের মধ্যে তালন্দ-মুন্ডুমালা প্রায় ১৪ কিলোমিটার, কলমা-বিল্লি প্রায় ৫ কিলোমিটার, আজিজপুর-ভালকুকান্দর ৬ কিলোমিটার ও আইড়্যা-বিল্লি প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার এর মধ্যে উপজেলা সড়ক প্রায় ১৫০ কিলোমিটার, ইউনিয়ন সড়ক প্রায় ৩০ কিলোমিটার, গ্রামীণ সড়ক-এ প্রায় ৩৮ কিলোমিটার, গ্রামীণ সড়ক-বি প্রায় ১০ কিলোমিটার ও বিএমডিএ’র প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ও ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে এসব সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা, যান চলাচলের প্রায় অযোগ্য, কোথাও ফাটল ধরেছে কোথাও পিচ উঠে মাটি বের হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই সড়কগুলো এক সময় পাকা ছিল। অপরদিকে আমনুরা-তানোর-রাজশাহী গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ধামধুম, লব্ব্যানাতলা, দেবীপুর, বাগধানী ও দুয়ারী মোড়ে অবস্থিত ৪টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব পশস্ত ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে একাধিক সেতু এবং সরু কালভাট দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সেগুলো পুনঃনির্মাণ বা সংস্কারের কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ