সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সোনারগাঁ উপজেলা নাদিয়া আক্তার রুমি নামের ৬ মাসের অর্ন্তসত্তা নববধুর লাশ হাসপাতালের বারান্দায় রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নববধুর বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন। সোনারগাঁ থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা জামপুর ইউনিয়নের মন্দিরপুর গ্রামের আবুল হোসেন ভুঁইয়ার ছেলে হাবির হোসেন ভুঁইয়ার সাথে গত আট মাস আগে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম এলাকার কবির হোসেনের মেয়ে নাদিয়া আক্তার রুমি (২৩) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী হাবির হোসেন ও শশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য নাদিয়াকে চাপ দিতো। গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে ফের বাবার বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা এনে দিতে নববধু নাদিয়াকে চাপ দেয় স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন। এতে নাদিয়া রাজি না হওয়ায় স্বামী হাবির হোসেন ও শশুর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহত নাদিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার নাদিয়াকে মৃত ঘোষনা করে। এ খবর শুনে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন নাদিয়ার লাশ হাসপাতাল বারান্দায় ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ নাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নববধুর বাবা কবির হোসেন নাদিয়ার স্বামী হাবির হোসেন, শশুর আবুল হোসেন, শাশুরী জায়েদা বেগম ও দেবর হুমায়ন কবিরকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।