Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঝিনাইদহে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ৫ সদস্য গ্রেফতার

| প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া চুয়াডাংগা, পোড়াহাটি ও পৌর এলাকার পাগলাকানাই এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে র‌্যাব গতকাল শুক্রবার ভোরে ৫ জঙ্গী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা লাখপাড়া গ্রামের আহম্মদ সরদারের ছেলে আব্দুল লতিফ, একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহিনুর রহমান, কিনার আলী বিশ্বাসের ছেলে সাহেব আলী, গয়াসপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে জিন্নুরাইন লাল্টু ও পোড়াহাটী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আল-আমিন। গ্রেফতারকৃতরা জঙ্গী মামলার এজাহার নামীয় আসামী বলে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ র‌্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ মনির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি গোলাম মোর্শেদ ও এএসপি মোঃ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় জঙ্গি মামলা রয়েছে। ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ মনির আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা গত ০৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় নিহত আব্দুল্লাহ, তুহিন ও পলাতক আসামী লিমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের ঝিনাইদহের একটি আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ইজ্জতের দাম ৩ লাখ : সেটিও আতœসাৎ!
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে মাত্র ৩ লাখ টাকা জরিমানায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা, ধর্ষককে মুক্তি ও জরিমানার টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর এই ন্যাক্কার জনক অপকর্মটি করেছেন কামারগা ইউপির সদস্য ‘মেম্বার’ আলাউদ্দীন আলী। তানোরের কামারগা ইউপির মির্জাপুর গ্রামে আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গত মঙ্গলবার ভিকটিম পরিবার বিষয়টি তানোর থানা পুলিশকে অবগত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, থানা পুলিশ, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করার কথা বলে আলাউদ্দীন আলী এসব টাকা হাতিয়ে নিয়ে আতœগোপণ করেছে। এদিকে ইউপি সদস্য আলাউদ্দীনের শাস্তির দাবিতে ইউপিবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।  
সূত্রে জানা গেছে, তানোরের কামারগা ইউপির মির্জাপুর গ্রামের সনজিতের পুত্র রানা ও কার্তিকের পুত্র সবুজ প্রায় ৫ মাস পূর্বে শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এতে ওই কিশোরী অন্তস্বঃত্ত¡া ও তার শারীরিক অসঙ্গতি দেখা দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। চলতি বছরের ১৩ মে শনিবার ভিকটিমের মা বাদি হয়ে সবুজ ও রানাকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রায় দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার করতে না পারায় ভিকটিম পরিবার মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকটা আশাহত হয়ে পড়ে।
এদিকে গত ১৭ মে বুধবার কামারগা ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন আলী বিভিন্ন কৌশলে ভিকটিম পরিবারকে ভয়ভীতি ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকায় আপোষের কথা বলে আপোষ নামায় ভিকটিম পরিবারের স্বাক্ষর নিয়ে আসামি রানা ও সবুজকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে এবং জরিমানার ৩ লাখ টাকাও ভিকটিম পরিবারকে না দিয়ে আতœসাৎ করেন বলে ভিকটিম পরিবার অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় এবং পুরোহিত ও নেতাদের ম্যানেজ করতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়, পরে রানা বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ভিকটিম পরিবারকে টাকা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেয়া হলে তাদের টাকা দেয়া হবে। এব্যাপারে তানোর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, মিমাংসার কথা বলে ইউপি সদস্য টাকা নিয়েছেন বলে তিনি জেনেছেন। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ