Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূমি অফিসের তহশীলদারের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি

সখিপুর নলুয়া খাসজমি বেদখল জড়িত ভূমিঅফিস

| প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সখিপুর(টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নলুয়া মৌজায় ৮৬৫ নং দাগের খাস জমি বেদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস খাস জমি বেদখলে সহযোগিতার করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নলুয়া মৌজার ৮৬৫ নং দাগে শাহীন দেওয়ান,জয়নাল মাস্টার,হেলাল কাজী, শফি দেওয়ান, জাফর ডাক্তার পন্নী সুপার মার্কেটে নির্মাণ করে খাস জমি দখল করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একই দাগে খাস জমিতে নিখিল নিজের বাড়ির পাকা টয়লেট, মোসাহিদ ১২শতাংশ খাস জমিতে মাটি ভরাট করে দখলে নিয়েছে, রোকসানা ঘর নির্মাণ, শামছুল হাজি, রহিম হাজি বিল্ডিং নির্মাণ করেছে, কালিপদ নাপিত বাড়ি ও আরিফ খান, মফিজ খান দোকান নির্মাণ, জাহিদুল ইসলাম জালাল মেহেদী ছাত্র নিবাস স্থাপন করেছে। জবর দখলকৃত খাস জমি বেদখলে ভূমি অফিস সহযোগিতা করেছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এব্যাপারে যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মো.আমিনুল হক বলেন, হাইকোর্টে মামলার কারণে জবরদখলকৃত খাস জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু হাইকোর্টে মামলার কোন নথিপত্র দেখাতে পারেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রকৃতপক্ষে হাইকোর্টে কোন মামলা নাই। এছাড়াও তহশীলদার আমিনুল হক বিভিন্ন জমির খারিজ বাবদ ৩৫/৪০হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খারিজের ঘুষের  টাকা আদায়ের জন্য অফিসের পিয়ন মাসুদ ও স্থানীয় শাহীন খানকে দুর্নীতিবাজ তহশীলদার ব্যবহার করে থাকে। এমনকি বিত্তবানদের ভূমিহীন বানিয়ে ২/৩লাখ টাকার বিনিময়ে খাস জমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছে-যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য উৎঘাটিত হবে। উল্লেখ্য,কালমেঘা গ্রামের বিত্তবান তিন ভাইয়ের নিকট থেকে ৫লাখ টাকা নিয়ে প্রত্যেককে ৪০শতাংশ করে এক একর ২০ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছে এবং আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ১৯/০২/১৯৬৮ ইং সালের ৯২৭ নং ভায়া জাল দলিল দেখিয়ে বেড়বাড়ী মৌজায় ১২২২, ১২২৩ নং দাগে ৭৬ শতাংশ জমি মো.জুয়েল খান, শিল্পি বেগম পিতা মৃত গোলাপ খান সাং বেড়বাড়ীকে ৪৫০ নং নামজারি খারিজ করে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজ তহশীলদার মো. আমিনুল হক লাখ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কোটি টাকার খাস জমি বেদখলে সহযোগিতা করেছে এবং জাল তথ্যের ভিত্তিতে নামজারি খারিজ করেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ