রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী থেকে: পবিত্র মাহে রমজান কে ঘিরে হাটহাজারী উপজেলার ১টি পৌরসভা সদরসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলো ভেজাল ঘি-তে ভরে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন দোকানে চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে ভেজাল ঘি। ভেজাল ঘি উৎপাদনকারীরা বেশ আগে ভাগেই বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে দিয়েছে তাদের ভেজাল ঘি পণ্যগুলো। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে উৎপাদিত ভেজাল ঘি-য়ে ব্যাবহার করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অনেক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অধিক মুনাফালোভী কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভেজাল ঘি উৎপাদন ও বাজারজাত করণের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানায়। দোকানীরা অধিক লাভের আশায় কাঁটি ঘি-য়ের পরিবর্তে নিম্নমান ভেজাল ঘি বেশি বিক্রি করে থাকেন। পৌরসভা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানীরা এরই মধ্যে মজুদ করছে ভেজাল ঘি আবার অনেকে গুদাম জাতও করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে অনেকে নামি-দামি কম্পানির লেভেল লাগিয়েও ভেজাল ঘি বাজারজাত করছে। ফলে ঘি কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে জনসাধারণসহ নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো।
হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারের দোকান গুলোতে র্দীঘদিন যাবৎ ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় অবাধে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে এ সব ভেজাল ঘি দাবি ভুক্তভোগিদের। এ ধরনের ভেজাল ও নিম্নমানের ঘি খেলে মানুষ কিডনি, লিভার, হৃদরোগ ও পেটের পীড়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
বিএসটিআই এর এক কর্মকর্তার এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, খাঁটি দুধের মাখন থেকেই মূলত বিশুদ্ধ ঘি উৎপাদিত হলেও এক কেজি খাঁটি গাওয়া ঘি তৈরি করতে ১০-১১ কেজি দুধের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের প্রতি কেজি ঘি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। কিন্তু ভেজাল ঘি তৈরি হয় দুধ ছাড়া। শুধু ডালডা, সাবান তৈরির সোডা, পামঅয়েল ও পারফিউম জাতীয় উপকরণ দিয়ে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের ভেজাল ঘি তৈরি হয় বলেও তিনি জানান। প্রতি কেজি ভেজাল ঘি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০-২৫০ টাকায়। আবার অনেকে ভেজাল ঘি দিয়ে খাঁটি ঘি-য়ের দাম নিচ্ছে বলেও তিনি জানা গেছে। ফলে ক্রেতা সাধারণ দিনের পর দিন প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় পবিত্র মাহে রমজানে ঘি-য়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ জন্য ভেজাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ তৎপরতার সঙ্গে আগে-ভাগেই ঘি তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরবরাহ করছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার হাট-বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, মুদির দোকান, মিষ্টির দোকান ও কুলিং কর্ণারগুলোতে তাকের পর তাক সাজিয়ে রেখেছে বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল ঘি। বাজারে ঘি তৈরির সঙ্গে জড়িতরা অনেকে নামি-দামি কোম্পানির লেবেল লাগানোর ফলে কোনটি আসল আর কোনটি নকল তা বোঝার কোন সাধ্য নাই। যার কারণে সাধারণ ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। এ ব্যাবপারে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ও যথাযথ ব্যাবস্থা নিলে জনসাধারণ উপকৃত হবে বলেও জানান সাধারণ ক্রেতরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।