বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে চলছে চোরাই পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন ও কেরসিন তেলের রমরমা বাণিজ্য। মহাসড়কের পাশে ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান থামিয়ে হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করে এ ব্যবসা চাল্লাচ্ছে একাধিক সিন্ডিকেট। চোরাই তেলের প্রকাশ্যে রমরমা ব্যবসা চললেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার দত্তসার দীঘির পাড়, জগন্নাথদীঘির পাড়, চিওড়া রাস্তার মাথা, বাতিসা মোল্লা মার্কেটের সামনে, আটগ্রাম বাংলাদেশ হোটেলের সামনে, হাড়িসর্দ্দার বাজারের দক্ষিণ পাশে ও উত্তর পাশে দীঘির পাড়ে, আমানগন্ডা বাঁকা বটগাছ ও হাই স্কুলের সামনেসহ মহাসড়কের প্রায় ২০টি স্থানে চলছে চোরা তেলের রমরমা ব্যবসা। ঝুপড়ির মতো এসব দোকানের সামনে দু’একটি ড্রাম সাজিয়ে রাখা হয়, দোকানের পেছনে থাকে আরও কিছু খালি ড্রাম। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই এসব দোকানের সামনে দু’একটি করে কেরোসিন তেলের বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরিসহ চোর বিক্রেতারা এসব দোকান দেখলেই চিনতে পারে। গাড়ি পার্কিং করে দরদাম করে যে যার ইচ্ছে মতো ডিজেল, পেট্রল ও কেরসিন কম দামে সহজেই বিক্রি করে দেয় সেখানে। ট্রাক কিংবা লরির ট্যাংকিতে পাইপ ঢুকিয়ে মাপমতো তেল বের করে নেয় ওরা। প্রতিদিন মহাসড়কে চলাচলকারী ট্রাক, লরী ও কাভার্ডভ্যানের চালকরা চোরা সিন্ডিকেটের কাছে হাজার হাজার লিটার ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন কমদামে বিক্রি করছে। কিছু অসাধু পাম্প এবং মহাসড়ক সংলগ্ন তেল ব্যবসায়ীরাই এসব তেল আবার কিনে নেয়। ডিজেলের বর্তমান দাম ৭১ টাকা। এই অসাধু সিন্ডিকেট ৬৭-৬৮, ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ঘুরে আস্তে আস্তে চালানোর কারণে তৈল খরচ হয় কম। ব্যক্তিগতভাবে অনেকের কাছে তেল বিক্রি করা হয়।
৬৫টাকায় প্রতি লিটার কিনে ৬৮ টাকায় বিক্রি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাম্প মালিক জানান, কাভার্ড ভ্যান, লরি ও ট্যাংকারগুলো থেকেই বেশি ডিজেল চুরি হয়। তিনি আরও জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা করা হচ্ছে। যার কারণে সিন্ডিকেটটি দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক জুড়েই তেল চুরির সিন্ডিকেট গাড়ির মালিকদের অসহায় বানিয়ে লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার লিটার ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অসাধু চক্র প্রতি মাসে বখরা নেয়ার কারণে সিন্ডিকেটটি দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে অনেক গাড়ির মালিক জানান। এভাবে মহাসড়কে তেল চুরি বন্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সূ-দৃষ্টি কামনা করছেন গাড়ির মালিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।