পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর হত্যাকান্ড নিয়ে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লন্ডনপ্রবাসী ড. মামুন রহমানকে জড়িয়ে পুলিশের দেয়া বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ হত্যাকান্ডে পুলিশের বক্তব্যকে ‘আজগুবি গল্প ফাঁদা’ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মিঠুর পরিবার এলাকায় খুবই জনপ্রিয় হবার কারনেই ইতোপূর্বে তার পিতা ও বড় ভাইকেও খুনীরা পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে। পিতা ও ভাইকে খুন করার পর বেশ কয়েকবার সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকেও হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হলেও খুনীদের অপারেশন ব্যর্থ হয়। কিন্তু গত ২৫ মে খুনীরা সফল হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, একই পরিবারের তিনটি খুনই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য ইঙ্গিতে তিনটি খুনের ঘটনাকেই ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা চালানো হয়েছে। মিঠু হত্যার ঘটনাতেও জনদৃষ্টিকে অন্যত্র সরাতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লন্ডনপ্রবাসী ড. মামুন রহমানকে মিঠুর হত্যায় অর্থ জোগানদাতা হিসেবে জড়িয়ে সম্পূর্ণ বানোয়াট কাহিনী রচনায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির বক্তব্যে আমরা হতাশ হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে ড. মামুন একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ও খ্যাতনামা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। ড. মামুন পুলিশের অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন-দেশে তার কোন ব্যাংক একাউন্ট থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে পুলিশ তা প্রমান করতে পারলে তিনি দেশে এসে আত্মসমর্পন করবেন। মিঠুকে হত্যার জন্য ড. মামুন ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন-এটি পুলিশের বানানো গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিআইজির বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিঠু হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার প্রতিপক্ষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের রক্ষা করতে অর্থাৎ প্রকৃত খুনীদের আড়াল করতেই পুলিশ আষাঢ়ে গল্প ফেদেছে। রহস্যজনকভাবে খুনী চক্র বা কোন গোষ্ঠীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। মিঠুর পিতা ও বড় ভাইকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পরও পুলিশের একইধরনের রহস্যাবৃত আচরণের কারনেই প্রকৃত খুনীরা অধরাই রয়ে গেছে। আমরা আশা করবো-সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না, উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে মিথ্যার জালে জড়িয়ে নিরপরাধকে মিথ্যা দোষে দোষী বানিয়ে আসল খুনীদের রক্ষা করতে অপচেষ্টা চালাবেন না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বিএনপি এবং এলাকাবাসী প্রত্যাশা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।