Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেত্রকোনায় ঘন ঘন লোড-শেডিং জনজীবন বিপর্যস্ত

| প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনায় ঘন ঘন লোড-শেডিং আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর বিজলী চমকানো দেখলেই নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পায় না। বিদ্যুৎ কখন আসে আর কখন চলে যায় তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। দিনে-রাতে মিলিয়ে জেলা শহরে ৬/৭ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর লোড-শেডিংয়ের কারনে জনজীবন অতিষ্ঠ। লোড-শেডিংয়ের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্তবিরতা। বিদ্যুৎ কারণে ছোট ছোট শিশুরা ঘুমাতে পারছে না। রমজান শুরু হওয়ার আগের দিন থেকেই বিদ্যুতের লোড-শেডিং বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের অভাবে মুসল্লীরা তারাবি নামাজ আদায় করতে গলদগর্ম হতে হচ্ছে। সেহেরীর সময়ও রোজাদাররা শান্তিতে সেহেরী খেতে পারছে না।
নেত্রকোনা উন্নয়নে নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক খানে আলম খান, মসজিদ কোয়ার্টার এলাকার আইনজীবী এডভোকেট মাহফুজুল হক, সাতপাই নদীর পাড় এলাকার আলপনা বেগম, কুরপাড় এলাকার সুজাদুল ইসলাম ফারাস, মালনী এলাকার এম ফখরুল হক, নাগড়া এলাকার জাহিদ হাসান, নিউটাউন এলাকার গৌতম বাবুলসহ অসংখ্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকায় রেফ্রিজারেটরে রাখা অনেক খাবার নষ্ট হচ্ছে এবং লো-ভোল্টেজের কারণে টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন ইলেকক্ট্রনিক সামগ্রী বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী হেলাল মোঃ আফজালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘেœর কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা শহরে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৫ মেগাওয়াট, কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে আমরা সরবরাহ পাচ্ছি ১২-১৩ মেগাওয়াট। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে পুরাতন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে এগুলো প্রায়শই অচল হয়ে পড়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ