Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল যোগাযোগ বন্ধ বোয়ালখালীতে রেল সেতুতে ধস

| প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম এস এমরান কাদেরী, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) থেকে : ঘুর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাব ও ভারী বর্ষণে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনের বোয়ালখালী-পটিয়া সীমান্তবর্তী বোয়ালখালী খালের উপর নির্মিত ২৪ নং রেলওয়ে সেতুর দেয়াল ও মাটি সরে গিয়ে ধস নামে। গত ৩০ মে রাতে ভারী বর্ষণের সময় উপজেলার বে্গংুরা রেল স্টেশনের কাছাকাছি দক্ষিণে খিতাপচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এবং ৩১ মে থেকে চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে সকল ধরনের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে দোহাজারী থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী রেলটি পটিয়া ধলঘাট স্টেশন অতিক্রম করে আসতে চাইলে এলাকাবাসী ধসের কথা জানান। এরপর থেকে ধসে পড়া ২৪নং রেল সেতুর দক্ষিণে পটিয়া ধলঘাট স্টেশনে যাত্রীবাহী রেল আটকা পড়ে বলে নিশ্চিত করেন গোমদন্ডী রেল স্টেশন মাস্টার মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, ধসে পড়া ২৪ নং সেতুর মেরামতের কাজ চলছে। কবে নাগাদ এর কাজ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সেতুটি সাময়িক মেরামত শেষে ধলঘাট স্টেশনে আটকা পড়া যাত্রীবাহী রেল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নগরের উদ্দেশ্যে গোমদন্ডী স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে কবে নাগাদ সেতুর মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
রেলযাত্রীরা জানান, যাত্রী নিয়ে দোহাজারী থেকে ছেড়ে আসা রেলটি ২৪নং সেতুর পটিয়া সীমান্তে আটকা পড়ে। পরে দুপুরে সেতু সাময়িক মেরামত করলে ঝুঁকিনিয়ে তা পার হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এ রেল লাইনে প্রতিদিন একজোড়া যাত্রীবাহী রেল চলাচল করে থকে। এ ছাড়া নিয়মিত দোহাজারীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস অয়েলবাহী ওয়াগণ রেল চলাচল করে।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই কালুরঘাট ১৩নং সেতু এলাকায় তেলবাহী ওয়াগণ ট্রেনের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। এছাড়া ২০১৫ সালের ১৯ জুন শুক্রবার উপজেলার বে্গংুরা রেল স্টেশনের কাছাকাছি দক্ষিণে খিতাপচর এলাকার দোহাজারীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য নেয়া ফার্নেস অয়েলবাহী ওয়াগণ ২৪নং শাকির পুল ভেঙ্গে বোয়ালখালী খালে পড়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ২৪নং সেতুটি সাময়িক সংস্কার করে রেল চলাচল স্বাভাবিক করে তুলে। তবে স্থায়ী সংস্কার বা পুন:নির্মাণ না করায় এলাকাবাসী ও যাত্রী সাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রæত ঝুঁকিপূর্ণ ১৩নং ও ২৪নং রেল সেতু নতুন ভাবে নির্মান করে বার বার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার আহবান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ