Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমে সৈয়দপুরে বাজার সয়লাব

| প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : আম এখন পযর্ন্ত পুরোপুরিভাবে পাকা শুরু না হলেও সৈয়দপুরের বাজার ‘পাকা’ আমে সয়লাব হয়ে গেছে। আনুপাতিক হারে এ আমের দামও কম। ফলে বিক্রিও হচ্ছে দেদারছে। এ আমের সবই কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকার মানুষ।
বৈশাখ মাসের শেষ থেকেই সৈয়দপুরের বাজারে পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। অথচ ফল ব্যবসায়ীদের মতে প্রকৃত পাকা আম আরো ৮/১০ দিন পরে পাওয়া যাবে। সৈয়দপুরে প্রতিটি ফলের দোকান তো বটেই রাস্তাঘাটে ফেরি করে পাকা আম বিক্রি করা হচ্ছে। প্রকারভেদে ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে আম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন কমবেশি এক হাজার মণ ‘পাকা’ আম নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কানসাট, দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চল বা মোকাম থেকে ট্রাক বোঝাই করে সৈয়দপুরে আসছে। প্রকৃতপক্ষে তাড়াহুড়া করে আম বাজারজাতকরণের জন্যই অপরিপক্ক আম পেড়ে তা কৃত্রিমভাবে পাকিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছ।
জানা গেছে, আম ‘পাকানো’র জন্য এখন সর্বত্র কেমিক্যাল পাওয়া যাচ্ছে। প্রভিট, ইডেন, ইথরেল প্রভৃতি নামের কেমিক্যালের ১০ মিলি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আমগুলো ¯েপ্র অথবা ভিজিয়ে ওঠাবার কিছুক্ষণ পর সব আমই হলুদ রং ধারণ করে।
স্থানীয় ফল আড়তদার মালিক সূত্র জানায়, এখানে কোনো আম পাকানো হয় না। তবে আম উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকেই কৃত্রিমভাবে আম পাকিয়ে তা সৈয়দপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
যেসব স্থান থেকে আম আসছে সেসব স্থানের উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা সচেতন না হলে অপরিপক্ক আমকে ‘পাকানো’র পদ্ধতি বন্ধ করা যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফল ব্যবসায়ী জানান, আম উৎপাদন স্থানের প্রশাসন কঠোর না হলে এ কৌশল প্রয়োগ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা জানান, এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে তা খেলে পেটের পীড়াসহ লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ক্যান্সারের মতো জীবনঘাতী রোগ হওয়াও অসম্ভব নয়।
এদিকে উপজেলার হাট বাজার সয়লাব হয়ে গেছে ভারতীয় আমে। তবে এগুলো সুস্বাদু দেশীয় আম নয়। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ভারতীয় আম। সৈয়দপুর হাট বাজারে এসব পাকানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। মৌসুম শুরুর আগেই এসব আম বাজারে এনে চড়া দামে বিক্রি করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। এসব আম দিনাজপুর জেলার হিলি ও লালমনিরহাট জেলার বুড়িবাড়ী স্থলবন্দর ও অন্য সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে সৈয়দপুরে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ