পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাজেটের পর সব পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট- এ ¯েøাগানে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সুযোগ সন্ধানী কোনো অসৎ ব্যবসায়ী অসাধু উপায়ে যেন ভোক্তার পকেট কাটতে না পারে সেজন্য সরকারকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে রমজানে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করুন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একদিকে রমজান, অন্যদিকে বাজেট। এ দুই কারণে যেন ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান গোলাম রহমান।
তিনি বলেন, নতুন আইনে অনেক পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত হবে। অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর আশ্বস্ত করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপিত হবে না। বিদ্যুৎ, গ্যাসে ভ্যাটের কারণে দাম বাড়বে না, ভোক্তাদের সমস্যা হবে না। ভ্যাট রিফান্ডের সুযোগ থাকার কারণে ভোক্তাদের কিছুটা কম ভ্যাট দিতে হবে।
চালের বাজার নিয়ে গোলাম রহমান বলেন, গত কয়েক মাস মোটা চালসহ অন্যান্য চালের দাম বেড়েছে। মোটা চালের দাম বেশি বেড়েছে। মোটা চালের বর্তমান দাম প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষের যে ক্রয় ক্ষমতা তার ৭০ শতাংশ এ চাল ক্রয় করে।
তিনি বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার প্রথমে বলেছে বছর শেষ সেজন্য চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর বলেছে হাওর এলাকায় বন্যা হয়েছে, চাল উৎপাদন এলাকায় রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক লাখ টন চাল নষ্ট হয়েছে, উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ বলেছে, সরকারি গুদামে ৩ লাখ টনেরও কম চাল মজুদ আছে। সব কিছুকে পুঁজি করে মধ্য সত্ত¡ভোগী, মিলার, আড়ৎদাররা মিলে দাম দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে।
চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে গোলাম রহমান বলেন, সরকারি গুদামের ক্ষমতা আছে ২০ লাখ টনের বেশি। মজুদ রয়েছে নিম্ন পর্যায়ে। সরকার দ্রæত যেন গুদামের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী চাল আমদানি করে মজুদ গড়ে তোলে। সরকারি গুদামে মজুদ থাকলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধিতে ভয় পাবে।
তিনি বলেন, ছোলা, চিনি, সয়াবিন তেলসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গত বছরের চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম কম হলেও দেশে কারসাজির কারণে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। প্রতিরোধে সরকারকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসায়ীদের সাথে বসে তা ঠিক করতে হবে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সম্পর্কে গোলাম হোসেন বলেন, পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্যাসের দাম দু’দফায় ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বেশ বাড়ানো হয়েছে। সরকার বড় বিদ্যুৎ স্থাপন করায় বেসরকারি খাত থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের সাথে চুক্তি নবায়ন না করা এবং বিদ্যুতের দাম আর বৃদ্ধি না করার অনুরোধ করেন তিনি। একই সাথে পানি ও গ্যাসে সরবরাহ নিশ্চিত করার আহŸান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।