পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কূটনৈতিক এলাকায় ভয়াবহ গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত ও ৩৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে ওয়াজির আকবর খান এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবরে বলা হয়। কাবুল পুলিশের মুখাপাত্র বশির মুজাহিদ জানিয়েছেন, ‘জার্মান দূতবাসের কাছে এটি ছিল গাড়িবোমা। তবে ওই এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দূতাবাস ও দপ্তরও রয়েছে। হামলার নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু কী ছিল তা এখন বলা মুশকিল। বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ভারতীয় দূতাবাসের সব কর্মী নিরাপদ আছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে ঘটনাস্থল থেকে ঘরবাড়ির দরজা-জানালা ছিটকে কয়েকশ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শক্তিশালী এ বিস্ফোরণে ১০০ মিটার দূরের বাড়ির দরজা জানালা কেঁপে উঠে। বিস্ফোরণস্থলের আশে পাশে কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ভবনও হামলার স্থান থেকে বেশি দূরে নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র নাজিব দানিস জানান, বিস্ফোরণ এতোটাই বড় ছিল যে, এতে ৩০টিরও বেশি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরুহ জানান অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। অপর এক খবরে আল-জাজিরা জানায়, কাবুলের কূটনৈতিক এলাকায় সংঘটিত হামলাটিকে আত্মঘাতী বলে মনে করা হচ্ছে। নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক ব্যবহার করে ওই হামলা হয়। পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থল জানবাক স্কয়ারের ওই বিস্ফোরণকে ইতিহাসের অন্যতম বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে পুলিশ ও হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে। বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা বলছে, বিস্ফোরকভর্তি ট্রাকে করে ওই হামলা চালানো হয়েছে; এমন প্রাথমিক ধারণা নিয়েই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জার্মান দূতাবাসের খুব কাছাকাছিই এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরুহ জানান অনেকে গুরুতর আহত। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিস জানান, বিস্ফোরণ এতোটাই বড় ছিল যে, এতে ৩০টিরও বেশি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সবচেয়ে নিরাপদ› এলাকা বলে পরিচিত ওয়াজির আকবর খান ডিসট্রিক্ট-এ ওই হামলা হয়। সেখানকার জানবাক স্কয়ারে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি দফতর আর বিদেশি দূতাবাসের কার্যালয়ের অবস্থানও আশপাশে। প্রায় ১০ ফিট উঁচু বিস্ফোরণ-প্রতিরোধী প্রাচীর দিয়ে ঘেরা সেই ভবনগুলি। ফ্রান্সের ইউরোপীয় বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মারিয়েল দ্য সারনে বলেছেন, বিস্ফোরণে ফরাসি ও জার্মান দূতাবাসের ক্ষতি হয়েছে। তবে দূতাবাসের কর্মীদের অবস্থা সম্পর্কে এখনো কোনো খবর পাওয়া যায় নি। সেখানে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদসহ আফগান সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ভবনও রয়েছে। সবচেয়ে নিরাপদ› এলাকা হিসেবে পরিচিত ভারত যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দূতাবাসও কাছাকাছি অবস্থিত। এএফপি, ফক্স নিউজ, বিবিসি, আল-জাজিরা।
সুষমা স্বরাজের টুইট
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শক্তিশালী বোমা হামলার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের সবাই নিরাপদে আছেন। নগরীর কেন্দ্রস্থল ওয়াজির মহম্মদ আকবর খান এলাকার জানবাক স্কয়ারে চালানো ওই গাড়ি বোমা হামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় সাড়ে তিনশ’ মানুষ। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে। বোমা হামলার ঘটনাস্থলটি ইরান, জার্মানি ও ভারতের দূতাবাসের খুবই নিকটবর্তী। বিস্ফোরণ স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা একটি বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। ভারতীয় দূতাবাসের দরজা-জানালার কাঁচও ভেঙেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দূতাবাসের দূরত্ব প্রায় ৫০ মিটার বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়। তবে দূতাবাসের কর্মীরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি মনপ্রীত বোহরা। আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (এএনএসএফ) এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট বার্তায় বলেন, ঈশ্বরের কৃপায় দূতাবাসের কর্মীরা নিরাপদে আছেন। বোমাটি দূরত্বে রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে বিস্ফোরণের নেপথ্যে আল কায়দা বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের হাত থাকতে পারে মনে বলে করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ঘটনাস্থলের পাশে বহু যানবাহন ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকতে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরের ঘরবাড়ির দরজা-জানালাও ভেঙে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এএনআই, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।