Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বরিশাল-মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বেকুঠিয়া সেক্টরে ফেরি সার্ভিসে জনদুর্ভোগ

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নাছিম উল আলম : বরিশাল ও খুলনা বিভাগসহ মোংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের অন্যতম অন্তরায় পিরোজপুরের বেকুঠিয়ায় কঁচা নদীর ফেরি সার্ভিসটি উন্নয়ন জরুরী হলেও বিষয়টি নিয়ে কোন জোড়াল পদক্ষেপ নেই। এ ফেরি সার্ভিসটির ওপরই চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বরিশাল হয়ে খুলনা বিভাগসহ মোংলা সমুদ্র বন্দরের সাথেও সড়ক যোগাযোগ নির্ভরশীল। কিন্তু ১৯৯৬সালে দীর্ঘদিনের পুরনো ইঞ্জিন সমৃদ্ধ ফেরি সার্ভিসটি চালু হবার পরে এখানে আর নতুন কোন ফেরি মোতায়েন করা হয়নি। সড়ক অধিদফ্তর এসেক্টরে ফেরি সার্ভিস পরিচালনা করে সরকারের জন্য বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করলেও যানবাহন পারপার নির্বিঘœ করতে তেমন কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেই। দীর্ঘদিনের পুরোনা ফেরি ও তার ইঞ্জিনসহ গ্যাংওয়ে প্রায়সই এ ফেরি সেক্টরে যানবাহন পারপারকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে।
ফলে প্রায়ই এফেরি সেক্টরে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি করে চলেছে। খরশ্রোতা কঁচা নদীর প্রবল শ্রোতের সাথে বয়ে আনা কচুরীপানার বিশাল ঢিবি এসে এ ফেরি ঘাটকে দখল করছে। কর্মক্ষমতাহীন দীর্ঘদিনের পুরনো ইঞ্জিন সমৃদ্ধ জরাজীর্ণ ফেরি,পন্টুন আর গ্যাংওয়ে এ ফেরি সেক্টরে নিত্যদিনের দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এর সাথে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের কতিপয় বিবেকহীন কর্মচারী প্রায়সই মাত্রাতিরিক্ত পাথর বোঝাই ট্রাক এখানে ফেরিতে তুলতে গিয়ে নতুনকরে বিপত্তি সৃষ্টি করছে। এতেকরে ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে ও পন্টুন সহ মূল ফেরির ডেকিং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের পুরনো ও দূর্বল ইঞ্জিন নিয়ে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন নিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়সই এখানের ফেরিগুলোর ইঞ্জিন বিগড়ে য”চ্ছ।
গত শুক্রবার সকালে দুটি পাথর বোঝাই ট্রাক সহ ৬টি পণ্যবাহী যান নিয়ে পিরোজপুর প্রান্তের ঘাট ছাড়তে গিয়ে প্রবল ভাটির শ্রোতে পন্টুনের সাথে একটি ‘ইউটিলিটি টাইপ-১’ ফেরি আটকে যায়। ইঞ্জিনের ওপর বাড়তি চাপ পড়ায় এক পর্যায়ে দুটি ইঞ্জনেরই হোসপাইপ ফেটে গিয়ে পুরো ফেরিটি বিকল হয়ে পড়ে। এফেরি সেক্টরের উভয়প্রান্তে মাত্র একটি করে ঘাট থাকায় বিকল্প ফেরিও চালু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বেকুঠিয়া সেক্টরে সড়ক অধিদফ্তরের ৩টি ইউটিলিটি টাইপ-১ ফেরি থাকলেও একটিতে কোন ইঞ্জিনই নেই। অপর দুটি চলছে দীর্ঘদিনের পুরনো ইঞ্জিন দিয়ে। যা চালাতে হচ্ছে অনেকটাই যোড়াতালী দিয়ে।
হোস পাইপ সংগ্রহ করে প্রায় ৩ঘন্টা পরে ফেরিটি সচল হলেও ততক্ষনে বেকুঠিয়ায় কঁচা নদীর উভয়প্রান্তে শতাধীক যানবাহন আটকা পারে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর পুরো একটি কন্টেইনজেন্টও আটকা পড়েছিল কয়েক ঘন্টা। খুলনা ও বরিশালের মধ্যে চলাচলকারী অসংখ্য যানবাহনের নারী ও শিশু সহ বিপুল সংখ্যক যাত্রীর দূর্ভোগ ছিল সব বর্ণনার বাইরে।
এসব বিষয়ে বরিশাল যান্ত্রিক সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে তার উদ্বেগ চাপা না রেখেই বলেন, আমরা বেকুঠিয়া ঘাটের সবগুলো ফেরিতেই নতুন ইঞ্জিন সংযোজনের চেষ্টা করছি, এলক্ষ সড়ক অধিদফ্তরে প্রস্তাবনা পেস করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সড়ক অধিদফ্তরের মেকানিক্যাল জোনে অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনিও ‘বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে’ বলে জানান। তবে এখনো বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। এসেক্টরের সবগুলো ফেরিতেই নতুন ইঞ্জিন সংযোজনের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ