প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০১৫ সালের পুরস্কার ঘোষণার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, জুরিবোর্ডের সদস্য চিত্রনায়ক আলমগীর চলচ্চিত্র বোঝেন না। যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে মোরশেদুল ইসলাম আরো বললেন, চিত্রনায়ক আলমগীর তার ছবিকে নম্বর দিয়েছেন অস্বাভাবিক রকম কম। পরে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে মোরশেদুল ইসলামের ছবিকে পুরস্কারের জন্য আমলে নেয়া হয়। প্রশ্ন উঠে, তাহলে কি মন্ত্রণালয়ের চাপে জুড়িবোর্ড মোরশেদুল ইসলামের ছবিকে আমলে নিতে বাধ্য হয়েছে? জুরিবোর্ডে মোট ১৩ জন সদস্যের মধ্যে একজন আলমগীর না হয় অস্বাভাবিক কম নম্বর দিয়েছিলেন। আরো তো সদস্য ছিলেন তারা নম্বর কেমন দিয়েছিলেন? একজনের নম্বরেই কি একটা ছবি বাদ পড়ার কারণ হতে পারে? মোরশেদুল ইসলাম আরো বলেন, এর আগেও আলমগীর নিজের জন্য পুরস্কার নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন একটা গোপন কথা বলি, আলমগীর রুনা লায়লার জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে পুরস্কার নিয়েছেন। জাতীয় পুরস্কার নিয়ে কি ভয়ংকর অভিযোগ! ভিতরে ভিতরে কত কিছু ঘটে অথচ পুরো জাতি অন্ধকারে! কিন্তু মোরশেদুল ইসলামের কথা অনুযায়ী তিনিও তো তখন ওই বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেছেন, আমি জোরালো প্রতিবাদ করেছিলাম। যদিও তার প্রতিবাদ আমরা সেদিন টেলিভিশনে শুনিনি। তার গোপন তথ্য প্রকাশিত ঘটনাকালে তিনি কি সত্যি মুখ খুলেছিলেন? দাবী যখন করছেন তখন নিশ্চয় খুলেছিলেন। কিন্তু প্রতিবাদের পরেও আলমগীরের অন্যায় তিনি প্রতিরোধ করতে পারেননি। এ কারণে ঘৃণায় তিনি পদত্যাগও করেননি। করলে মনে হয় ভালো করতেন। জাতীয় পুরস্কার নিয়ে এমন লুটপাটের কথা সেই সময় তিনি আজকের মত জাতিকে জানাতে পারতেন। জানালেন না কেনো? এটা কি বোর্ডের সদস্য পদে থেকে অনৈতিক কাজে আলমগীরকে সহযোগিতা করার শামিল না? রাষ্ট্র এবং জাতি আপনাদের উপর যে গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলো তার কতটুকু আপনারা রক্ষা করতে পেরেছেন? আজ জাতি দেখলো, যখন মোরশেদুল ইসলাম মনে করলেন জুরিবোর্ডের কোনো এক সদস্যের কারণে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তখন গণমাধ্যমের সামনে এসে অকপটে প্রকাশ করলেন তার ক্ষেত্রে সরকার কতৃর্ক গঠন করা জুড়িবোর্ডের যত সব নোংরামির ইতিহাস। জাতির প্রশ্ন, মোরশেদুল ইসলামও তো কখনো কখনো জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন তাহলে তাদের এ রকম অনৈতিক আচরণের কারণে কতজনকেই না জানি ন্যায়বিচার থেকে তথা জাতীয় পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে, সেটা কি বলবেন? যাদের হাতে ক্ষমতা নাই তারা আপনাদের হাতে চিরদিন বঞ্চিত হবে, কেননা ওরা জুরিবোর্ডের কোনো সিদ্ধান্তকে রিকল করানোর ক্ষমতা রাখেন না। মোরশেদুল ইসলামের কথায় মোটামুটি অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেছে। তিনি প্রকাশ করেছেন আংশিক গোপন কথা। কিছুটা হলেও বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল। সরকার কতৃর্ক এখনই এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া খুব জরুরি। এ প্রসঙ্গে জাতি অভিযুক্ত আলমগীরের কথাও শুনতে চায়। সেটা হলে হয়তো নোংরামির চিত্র আরো বেশি প্রকাশ পাবে কিনা কে জানে! যদিও এমন নোংরামি দেখা জাতির কাম্য না। অন্যদিকে মোরশেদুল ইসলামের অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব রুনা লায়লার উচিত হবে জাতীয় পুরস্কার সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। কারণ এ রকম পুরস্কার অন্তত রুনা লায়লার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। অন্যদিকে মোরশেদুল ইসলামের আনিত অভিযোগ মিথ্যা হলে রুনা লায়লারও উচিত হবে প্রতিবাদ করা। আর সরকারের কাছে আমাদের একটি অনুরোধ পরবর্তিকালে জুরিবোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ।
লেখক: চলচ্চিত্র নির্মাতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।