পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ বর্তমান ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের বিভিন্ন সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারের পাশের লোক ছাড়া এ ধরনের কাজ কেউ করতে পারে না। করের টাকা কোথায় যাচ্ছে? অবাধ লুটপাট হচ্ছে। তিনি বলেন, কোথাও সুশাসন নেই। যদি সুশাসন থাকত, দেশে এই অরাজাকতা থাকত না। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব সমালোচনা করেন তিনি। দীর্ঘ দিন যাবৎ অর্থনীতিতে একটি অশনি সংকেত চলছে দাবি করে জাতীয় পার্টির এই এমপি বলেন, একটি পত্রিকায় এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী খেয়ে ফেলেছে মুলধন। অর্থাৎ রাষ্ট্রয়াত্ব ছয়টি ব্যাংক এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বলতা এতই প্রকট হয়ে পড়েছে মূলধন তো হারিয়েছেই ১৬ হাজার টাকা ঘাটতিতে পড়েছে। অর্থাৎ এই ব্যাংকগুলো দিনের পর দিন দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এর আগে আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮’শ কোটি টাকা বিদেশ পাচার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, টাকা পাচার হলেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন আসে। এর ফলাফল আমরা কখনও দেখতে পাই না। এর মধ্যে আরো দু্টি ঘটনা ঘটে, ওটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এই ধামাচাপা পড়তে পড়তে ব্যাংকগুলোই একদম ধামাচাপা পড়ে গেছে। ব্যাংকের উপর জনগনের কোনো বিশ্বাস নেই।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, একদিন পরই বাজেট পেশ করা হবে। সেখানেও ঘাটতি বাজেট দেয়া হবে। এই ঘাটতি জনগণ কেন মেটাবে? এটা তো জনগনের টাকা। কারা লুটপাট করছে? কার এর জন্য দায়ী? আজ পর্যন্ত এই সংসদে এর কোনো জবাব পেলাম না। আমরা কথা বলি কিন্তু অর্থমন্ত্রী থাকেন না। অর্থ প্রতিমন্ত্রী থাকেন না। আমরা হাওয়ার সঙ্গে কথা বলি।
তিনি বলেন, কৃষি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রুপালী এবং অগ্রণী ব্যাংক ছাড়াও মূলধন ঘাটতির তালিকায় বেসরকারি ব্যাংক আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের তালিকা রয়েছে। ক্ষমতায় থাকলে দুটি জিনিসের অভাব হয় না। একটা চাটুকারীতা আরেকটা বাঁশ দেয়া। হিমালয়ের উপর ওঠে কেউ যদি মনে করে আকাশ অনেক কাছে কিন্তু আকাশ তো অত কাছে। সরকার মনে করছে জনগণ অনেক কাছে। কিন্তু তা নয়। জনগন এগুলো দেখে একজনকে বেছে নেয়। সামনে নির্বাচন কোথাও সুশাসনের কোনে ইঙ্গিত আমরা দেখি না।
তিনি বলেন, জনগণ আমাদের বিরোধী দল মনে করে না। কারণ আমরা কথা বলতে পারি না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী আমরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারি না। সুশাসন আছে? কোথাও সুশাসন নাই। যদি সুশাসন থাকত, দেশে এই অরাজাকতা থাকত না।
ব্যাংকে অবাধ লুটপাট চলছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ ছিলাম কিন্তু এবার খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। তার মধ্যে ব্যাংকে অবাধ লুটপাট চলছে। সরকারের কাছের লোক না হলে কেউ লুটপাট করতে পারেন না। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকলে কিছু লোকের চেতনা জাগে। এরা চাটুকার। শুধু মুখে বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আগে এরা কোথায় ছিল, এখন তাদের কথা কেন শোনা হচ্ছে? সব টাকা কুক্ষিগত করছেন, বিদেশ পাচার করছেন। ভিআইপি লাইসেন্স নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছেন। তিনি বলেন, বাজেটে তো কর বাড়াবেন। কিন্তু করের টাকা কোথায় যাচ্ছে? অবাধ লুটপাট হচ্ছে। এসবের হিসেব কই? সংসদে এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী কেন চুপ থাকেন, তিনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।