পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অতিরিক্ত ৫০০ শয্যা যোগ করে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের ১৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের সম্প্রসারণ কাজ আগামী বছরের প্রথমার্ধে শেষ হবে। এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতাল হবে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থোপেডিক হাসপাতাল। গতকাল রাজধানীতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের কাছে একথা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ।
সরকারি হাসপাতালগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের হাসপাতালগুলোর জন্য এখন সবচাইতে প্রধান সমস্যা হলো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ৪০ হাজার কর্মচারীর পদ শূণ্য। শূণ্যপদ পুরণে এক বছর আগে নেওয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ আন্তঃমন্ত্রণালয় জটিলতার কারণে এখনো বাস্তবায়নের আলো দেখছে না।
তিনি জানান, সীমিত সম্পদ নিয়েও সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রায় ৮ হাজার চিকিৎসক ও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার চিত্রের ইতিবাচক উন্নয়ন ঘটানো হলেও ৪০ হাজার কর্মচারীর শুন্যতার কারণে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, দালাল চক্রের উৎপাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ এখনো পিছু ছাড়ছে না। যত দ্রæত সম্ভব কর্মচারীদের শুন্য পদ পূরণ হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে তত দ্রæত সব ধরণের অভিযোগ নিশ্চিহ্ন করা যাবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বাধীনতার পর পর পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহে পঙ্গু হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছিল জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দীর্ঘ কয়েক দশকে জনসংখ্যা ও দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হাসপাতালে রোগীর চাপ শয্যা সংখ্যার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি থাকে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অর্থোপেডিক হাসপাতালের নতুন ১৪ তলা ভবণের কাজ হাতে নেওয়া হয়, আগামী বছর যা শেষ হবে।
মন্ত্রী হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে হাসপাতালের সেবার মান সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ও নার্সদের সাথেও এসময় তিনি বৈঠক করে সেবার মান বাড়ানোর জন্য আরো নিবেদিত হওয়ার আহŸান জানান। এসময় হাসপাতালের নার্স সংকটের কথা মন্ত্রীর নজরে আনলে তিনি তা দ্রæত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আশ^াস দেন। সেবার মান বাড়াতে কর্মস্থলে থাকা, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে সতর্ক থাকাসহ সেবাদানে কোনো শৈথিল্য যেন না ঘটে সেক্ষেত্রে সজাগ থাকতে তিনি এসময় সকলকে নির্দেশ দেন।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোনায়েম হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও হাসপাতালের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।