Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খতমে কোরআন মাহফিল গাউছুল আজমের জ্বলন্ত কারামাত

| প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তাফা খলিফায়ে রাসূল (দঃ) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু আন্হু’র ঈছালে ছাওয়াব, এ দরবারের মহিয়সী রমণী জামানার রাবেয়া বসরী রূহানী আম্মাজান (রহঃ) এর সালানা ওফাত শরীফ ও মাহে রমজান উপলক্ষে ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিল গতকাল দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়। মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করে হাজার হাজার মুসলিম জনতা উপস্থিত হয় কোরআন মাহফিলে। ফজরের নামাজের পর আসতে থাকে কোরআন প্রেমিক আলেম, হাফেজ, কোরআন পড়–য়া তরিক্বতপন্থী ও সাধারণ মুসলমানরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যেও চলতে থাকে কোরআনের সুমধুর তেলাওয়াত, বুখারী শরীফের পাঠ এবং ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখে মুখে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’র জয়ধ্বনি। এ যেন শান্তি বর্ষণের এক জান্নাতি বাগান। গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র রওজা পাকে আদায়, পূর্ব ষোষিত তারিখ থেকে মহিলা, প্রবাসী, তরিক্বতপন্থী ও উপস্থিত মুসলিম জনতা সর্বমোট ২১৭৩৯টি খতমে কোরআন, ১টি খতমে বুখারী এবং ১৭৫৫টি খতমে তাহলীল আদায় করেন। যা বর্তমান বিশ্বে বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এমন দূর্যোগপূর্ণ পরিবেশে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি এবং এতসংখ্যক খতমে কোরআন নিঃসন্দেহে গাউছুল আজমের গাউছিয়্যতের মহা প্রমাণ এবং তাঁর জ্বলন্ত কারামাত। খতমে কোরআন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সভাপতি হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান প্রমুখ।
মাহফিল শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন আওলাদে রাসূল মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুল আলী ছাহেব। -বিজ্ঞপ্তি



 

Show all comments
  • ফৈয়াজ ৩১ মে, ২০১৭, ১:৩৩ এএম says : 8
    এতো পরিমানে কোরআন খতম একদিনে? এটা কি শরীয়ত সম্মতি!দয়া করে কোরআন হাদিস এর আলোকে রেফারেন্স সহ জানাবেন ।
    Total Reply(3) Reply
    • আরাফ ৩১ মে, ২০১৭, ১২:৩৩ পিএম says : 4
      আসলে অধিক কোরআন পড়লে সেইখানে তো শরীয়তের কোনো বাধা নেই
    • SK ALAM ৩১ মে, ২০১৭, ১২:৪৮ পিএম says : 4
      একদিনে না। ১ দিনে হয়েছে ১২৪ টি খতমে কোরআন। এবং ১ টি বোখারী খতম।বাকীগুলো পূর্বে থেকে খতম হয়ে আসছে।খতমে কোরআন আদায় করাটা শরিয়ত সম্মত নাকি সন্দেহ থাকে তাহলে বলার কিছুই নেই।
    • shahid ১ জুন, ২০১৭, ১২:৫৮ এএম says : 4
      এটা একদিনে নয়, ১৫-২০দিন আগে থেকেই এর শুরু হয়,এর আগে শবে মেরাজ এর সময় ১৯০০০ এর মত খতম পড়া হয়েছিল,যা কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা তথা গাউছুল আজমের ওফাত উপলক্ষে ।
  • Abu Mun ৩১ মে, ২০১৭, ২:১৬ পিএম says : 0
    সুবহানাল্লাহ। মা-শা-আল্লাহ । নিঃসন্দেহে গাউছুল আজমের জ্বলন্ত কারামাত।আল্লাহ পাক সবাইকে এই রকম নুরানি খতমে কোরআন মাহফিলে শরীক শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন।আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • humayn azad ৩১ মে, ২০১৭, ৫:৪০ পিএম says : 0
    etogola kotme koran 1 din e hoi nai.1 din e hoise 124 ta.baki gola january teke ai porjonto joto gola kotom dewa hoise tar hishab.
    Total Reply(0) Reply
  • ৩১ মে, ২০১৭, ৭:১৪ পিএম says : 0
    মাশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • ২ জুন, ২০১৭, ১:১৩ এএম says : 0
    শরীয়তের ফায়সালায় কোন বাঁধা নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ