Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ও সেকায়েপ প্রকল্পের গভীর নলক‚প স্থাপনের বরাদ্দের ৭০ হাজার ৮৭০ টাকা আত্মসাত করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক ২০০৪ সাল থেকে অদ্যবধি বিদ্যালয়ের মঞ্জুরী নবায়ন করেননি। বরং তিনি বিভিন্ন দপ্তরে ভুয়া মঞ্জুরীর কাগজপত্র দেখিয়ে দাপ্তরিক কাজ করেন। ওই বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা হিসাব নং-৭৭২ ও সাধারণ তহবিলের ৩০ হাজার ৪৭ টাকা হিসাব নং-৭৭৩ থেকে উত্তোলণ করে আত্মসাত করেন। এছাড়া নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতাকে আড়াল করে তার বড় ভাই আব্দুল মতিন বিএসসিকে প্রতিষ্ঠাতা দেখিয়ে তাকে সভাপতি করে গোপনে কমিটি গঠন করেন। এ ঘটনায় প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন গত ২৮/০৭/২০১৫ ইং বিজ্ঞ সুন্দরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ বিচারক অর্থনৈতিক লেনদেনসহ নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাজ না করতে আদেশ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আদালতের আদেশ অমান্য করে গোপনে শিক্ষক নিয়োগের পায়তারা করেন। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যক অনুয়ায়ী কোন প্রকার শাখা না থাকলেও তিনি কাগজপত্রে ভুয়া শাখা দেখিয়ে সমাজ বিজ্ঞান পদে ৪ জন গ্রন্থাগারিক ১ জন ও অফিস সহকারী ১ জন নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেন। বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সেকায়েপ প্রকল্পের অর্থায়নে গভীর নলকুপ স্থাপনের ৭০ হাজার ৮৭০ টাকা অগ্রণী ব্যাংক পাঁচপীর বাজার শাখা হতে দুই কিস্তিতে ০৮৭০৫২১ ও ০৮৭০৫২৪ নং চেকের মাধ্যমে উত্তোলণ করে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। এভাবে একর পর এক দুর্নীতি করায় গত ২৬/১০/২০১৬ তারিখে প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হককে কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল জানান, সেকায়েপ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত গভীর নলকুপ স্থাপনের টাকা আমি ছাড় করেছি। প্রধান শিক্ষক যদি কাজ না করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে বরখাস্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হকের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন জানান, উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে গত শনিবার (২৭ মে) তদন্ত করেছি তা এখনো চলমান রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ