বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের ঘাটাখালি বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জানা গেছে, গত শনিবার মধ্যরাতে প্রবল জোয়ারের চাপে পাউবোর ১৩-১৪/২ পোল্ডারের কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন ঘাটাখালি গ্রামের সোহরাব শেখের বাড়ী সংলগ্ন দুর্বল বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ’ ফুট জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে ঘাটাখালি, গোবরা পূর্ব চক, হরিনখোলা ও ২নং কয়রা গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। খবর পেয়ে সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিন ও কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৪ মে ঘাটাখালি বেড়িবাঁধের টেন্ডার সম্পন্ন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। টেন্ডারের পর থেকে বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ঠিকাদার পাঠাতে অনুরোধ করা সত্বেও সময়মত বাঁধের কাজ না করায় ভাঙনের কবলে পড়তে হয়েছে এলাকার মানুষদের। এ জন্য তিনি পাউবোকে দায়ি করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আঃ গফফার ঢালী জানান, ২৮ মে বিকেল পর্যন্ত তিনটি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া প্রায় ৩ শতাধিক মৎস্য ঘের,চলতি আউশ মৌসুম ধান সহ বিভিন্ন শাকশবজির ক্ষেত লোনা পানিতে তলিয়ে গিয়ে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এলাকার সাধারন মানুষ। এ মুহুর্তে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাধ আটকানো না গেলে কয়রা সদর সহ বিভিন্ন এলাকা লোনা পানিতে তলিয়ে যাবে। পাউবোর আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল আলমের সাথে তার মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, ভেঙে যাওয়া বেড়ি বাধ আটকানোর জন্য পাউবোর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পাউবোর কোন কর্মকর্তাকে ভাঙন কবলিত এলাকায় দেখা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।