বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটিয়ার এসআই কুতুবকে তদন্ত শেষে ক্লোজড
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : নিরীহ মানুষ ধরে এনে হত্যা মামলায় চালান ও পরবর্তীতে পিতা-পুত্রের লোমহর্ষক মৃত্যুর ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে পটিয়া থানার বিতর্কিত এসআই কুতুব উদ্দিনকে অবশেষে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল সকালে সে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে যোগ দিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে তাকে প্রশাসনিক জটিলার ইস্যুতে ক্লোজড করা হয়। গত ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে ‘পটিয়া থানার এসআই কুতুবের অত্যাচারে অতীষ্ঠ নিরীহ মানুষ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তা এক দফা তদন্ত হয়। সে সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এসআই কুতুব ম্যানেজ করে নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা হয়নি। অবশেষে গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দ্বিতীয় দফা চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়ার তদন্তে পুলিশের কারণে পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনা সত্যতা পেয়ে এমরান ভুঁইয়ার সুপারিশে জেলা পুলিশ সুপার শাস্তিমূলক তাকে ক্লোজড করেন।
সূত্রে জানা গেছে, এসআই কুতুব শিক্ষানবিশ হিসেবে ২০১২ সালে পটিয়া থানায় যোগদান করেন। প্রমোশন পেয়েও সে দীর্ঘ ৫ বছর পটিয়া থানা ছাড়েনি। ৫ বছরে তাকে ৫বার বদলী করা হয়। কিন্তু প্রতিবারেই অর্থের বিনিময়ে সে বদলী ঠেকিয়ে দেন। তাছাড়া প্রতিদিন এলাকার নিরীহ মানুষ ধরে এনে বাণিজ্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জায়গা দখল-বেদখল করে দেওয়া, মদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজসসহ তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামের ডুয়ারপাড়া এলাকায় এসআই কুতুবের কারণে পিতা-পুত্রের লোমহর্ষক মৃত্যুর ঘটনা ও হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনে হতম্ভব হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়া। মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাহমিনা বেগম এসআই কুতুবের অভিযোগ তদন্ত করতে পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানান। এর আলোকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়া গত রবিবার সকালে পটিয়া থানায় এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন। বিনা কারণে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার রহিম বাদশাকে আটক করে একটি হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। নিরাপরাধে ছেলে জেলে থাকায় পিতা আবু ছিদ্দিক হার্টস্ট্রোক করে মারা যায়। তখন ছেলে রহিম বাদশা জেলে ছিল। পরবর্তীতে ছেলে জেল থেকে বের হলে পিতা হার্টস্ট্রোকে মারা যাওয়ার খবরে পেয়ে সে নিজেও আত্মহত্যা করে জীবনের ইতি টানে। নিরীহ পরিবারটিকে পুলিশ ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কোন অভিযোগ করেনি। এভাবে সে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।