পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইন মন্ত্রণালয়কে আইনের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, এমন কিছু করা নির্বাহী বিভাগের উচিৎ হবে না, যাতে বিচার বিভাগ বিক্ষুব্ধ হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগীয় যত কর্মকর্তা ডেপুটেশনে দিয়েছি, যদি তাদের প্রত্যাহার করি, তাহলে কারো কিছু করার থাকবে না। সংবিধান অনুসারে ব্যাখ্যা আমরা দেবো, নির্বাহী নয়। এগুলো মনে করে চলবেন। প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। মারাত্মক হয়ে যাবে। গতকাল সোমবার নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ-সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট না হওয়ায় আবার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি এসব মন্তব্য করেন। পরে গেজেট প্রকাশে আরো দুই সপ্তাহ সময় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ।
সকালে শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুই সপ্তাহ সময়ের আবেদন জমা দেন। তখন প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন কী?’ জবাবে অ্যাটর্নি বলেন, সময়। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, কারণটা কী? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রসেস চলছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা হাসব না কাঁদব? হাসার জন্য তো মনে একটা কষ্ট হয়। যাই হোক, আমি কিছু বলছি না। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়ে গেছে। কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। কিছু অনিয়ম আছে। এগুলো নিয়ে সারা জীবন নয়। আমরা চাচ্ছি, একটা সিস্টেমে চলে আসতে। প্রধান বিচারপতি অনিয়ম থেকে নিয়মে আসতে গেলে বলে— গেল গেল।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, পত্রিকায় বলা হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সরকারের দ্ব›দ্ব। আপনার মিনিস্ট্রিকে বলবেন, জেনারেল ক্লজ অ্যাক্টের ২১ পড়তে। সরকারকে বলবেন, যেসব বিচারক প্রেষণে আছে, তারা সরকারি কর্মচারী নয়। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, প্রেষণে থাকাদের মধ্যে কারা বিদেশে যায়, তাদের নাম। যত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে দেয়া হয়েছে, তাদের যদি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়, তাহলে কারো কিছু করার নেই। বিচারকদের ডেপুটেশনে দিয়ে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। ১৮৯৭ সালের সেকশন জেনারেল ক্লজ অ্যাক্ট ২১ দেখেন। যদি না হয় এটা ডিলেট করে দেন। এটা এত দিন ধরে চলে আসছে।
আপনারা বিচার বিভাগকে বিক্ষুব্ধ করবেন না, প্রেসিডেন্ট অনুশাসন বলে এমন কিছু করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট কাছে কোনো ফাইল পাঠিয়ে যদি বলা হয় করবেন, তখন তিনি হ্যাঁ বলেন, না বললে না বলেন। তাই বলছি ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়।
ভুল বোঝাবুঝি যত কম হয়, ততই ভালো। তারা মনে করলে সুপ্রিম কোর্টের ওপর আদেশ করবে, তা ভুল করবে। তারা আইন না জেনে একের পর এক ব্যবধান সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্র এ রকম করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সিনিয়র বিচারকগণ চিন্তা করে নেয়।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আপনারা যদি আইন না জানেন, তাহলে আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন। বিডিআরের মামলা কোন আইনে চলবে, সেটা আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি। সংবিধান অনুসারে ব্যাখ্যা আমরা দেবো, নির্বাহী নয়। এগুলো মনে করে চলবেন। প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। মারাত্মক হয়ে যাবে। তারা যদি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলে এটাই কারেক্ট, খুব ভুল হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।