পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আসন্ন বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ২৭ হাজার ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটা চলতি বাজেটের ভর্তুকির আকারের থেকে ৫শ কোটি টাকা কম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা।
অর্থবিভাগের তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের যে প্রস্তাব আছে তা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ।
পাঁচ বছর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভর্তুকিতে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা যা ওই অর্থবছরের জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ছিল। এরপর থেকেই সরকার ভর্তুকি কমতে শুরু করে। এই হিসেবে পাঁচ বছরে বাজেট ভর্তুকি কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
দিন দিন ভর্তুকির চাপ কমার প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ, ভর্তুকি ব্যয় বেশি হলে আর্থিক চাপে থাকে সরকার। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য নিম্নমুখী ও জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় এ খাতে আগের চেয়ে বরাদ্দ কমেছে। ফলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে সরকার।
সূত্র জানায়, চলতি ২০১৬-১৭ সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকি কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৭-১৮ বাজেটে ভর্তুকি খাতে ২৭ হাজার ৫শ কোটি টাকা রাখা হলেও সংশোধনের সময় তা ২০ হাজার কোটিতে নেমে আসবে।
অর্থবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের মধ্যে ভর্তুকি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার। ২০২১ সালের পর শুধু কৃষি খাতে ভর্তুকি দেয়া হতে পারে। সেটাও আবার সরাসরি অর্থ না দিয়ে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি সরঞ্জাম সরবরাহ করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
বর্তমানে ছয় থেকে সাতটি খাতে ভর্তুকি দেয়া হয়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, কৃষি, রফতানি, খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে আরও কিছু খাতে ভর্তুকি দেয়া হয়। তবে এসব খাতে বরাদ্দ খুব কম থাকে। আগে জ্বালানি তেলে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হতো। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় গত অর্থবছর থেকে জ্বালানিতে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বাজেটের মতো আগামী বাজেটেও এ খাতে ‘শূন্য’ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃষিতে মূলত সার আমদানিতে ভর্তুকি দেয়া হয়। আগামী বাজেটে এ খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে মূল বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ৩ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে।
বিদ্যুতে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য বরাদ্দের বেশি অর্থ দেয়া হবে।
দরিদ্র জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাওয়ানোর জন্য খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি করে সরকার। এ জন্য চাল-আটাতে ভর্তুকি দেয়া হয়। আগামী বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আগের চেয়ে এক হাজার কোটি বাড়িয়ে চার হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
রফতানি উৎসাহিত করতে ৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও সমপরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মূলত তৈরি পোশাক পণ্য রফতানিতে এ সহায়তা দেয়া হয়।
পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আগের মতো ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে দেড় হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে আসন্ন বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ২৭ হাজার ৫০০ কোটি ব্যয়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।