বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোরেলগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মিজান সিকদার(৩২) নামে এক আ. লীগ কর্মীকে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে। শনিবার রাত ১১টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মিজানের আপন ছোট ভাই ইলিয়াস(২৮) ও প্রতিবেশী গিয়াস তালুকদার(৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। নিহত মিজান চৌদ্দঘর গ্রামের ভাষার সিকদারের ছেলে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানয়, পারিবারিক কলহ ও গেল পৌরসভা নির্বাচনে সৃষ্ট শত্রুতার কারণে মিজানকে পা ভেঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা করে তার ভাইসহ ৪জন। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে মিজানকে কৌশলে ডেকে নেয় ৩ হত্যাকারী। এসময় মিজানের ভাই ইলিয়াস রাস্তায় পাহারায় থাকে। কিছুক্ষণ পরে ওই ৩জনের একজন ইলিয়াসকে ফোন করে জানায়,‘ তুই বাড়ি চলে যা। সমস্যা হয়েছে(মারা গেছে)। ইলিয়াস বাড়ি চলে যায়। ওই তিন খুনি মিজানের লাশ ঘাড়ে করে নিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে মাথা নিচের দিকে দিয়ে ফেলে রাখে।
শনিবার বিকেলে মিজানের ব্যবহৃত জুতা ও ঘড়ি পাওয়া যায় বাগানে এবং মাটিতে দেখা যায় রক্তের দাগ। এ নিয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয়রা সেপটিক ট্যাংকে খুঁজে পায় মিজানের লাশ।
জানা গেছে, গেলে পৌরসভা নির্বাচনে মিজান ছিলো বিজয়ী কাউন্সিলর নান্না শেখের কর্মী। নির্বাচনের পরে মিজান তার প্রতিপক্ষের লোকদেরকে মারপিট ও চাঁদা দাবি করছিলো। এ ছাড়াও মিজান তার পরিবারে সবার সাথে অসদাচরণ করতো। এই দুই কারণে মিজানকে হত্যা করা হয়। তবে মিজানের ভাই আটক ইলিয়াস বলেন, মিজানকে ধরে পা ভেঙ্গে দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু তার অনুপস্থিতিটিতে অপর তিন হত্যাকারী মিজানকে মেরে ফেলে।
খানার ওসি(তদন্ত) তারক বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। তবে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।