বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরের বিষয়ে ফরিদপুরের জনগণ এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু সাধারণ জনগণ মামলা হামলার ভয়ে মুখ খুলছে না। কয়েক বছর ধরে ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ঘোষনার অপেক্ষায় সর্বশেষ ফরিদপুর পৌরবাসী মনে করেছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরের জনসভায় এসে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাও করেন নাই। এরপর জনগণের আরো মনোবল ভেঙ্গে গেছে এবং যারা সিটি কর্পোরেশন রূপান্তরে ব্যস্ত ওই সকল ব্যক্তিবর্গকে এখন আর ফরিদপুরের জনগণ বিশ্বাস করে না। ফরিদপুরের জনগণ এখন ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন চায়। দীর্ঘদিন আগেই ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখনও নির্বাচন না হওয়ায় তারা স্বপদে রয়ে গেছেন এবং এই সুযোগে তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন।
সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার নামে ফরিদপুর শহরবাসীর কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করছে ফরিদপুর পৌরসভা। বিশেষ করে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে অনেক টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রাহকে। একশত টাকার পৌর ট্যাক্স দিতে হচ্ছে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। আর হাজার টাকার ট্যাক্স হয়েছে ১০ হাজার টাকার উপরে। সর্বক্ষেত্রেই ফরিদপুর পৌরসভা এখন একটি দুর্নীতির আখড়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা জানান, ফরিদপুর পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হলে আমাদের কোনো লাভ নেই। আমাদের অতিরিক্ত ট্যাক্স দিয়ে যেতে হবে, লাভজনকে থাকবেন যারা পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। ওই ব্যক্তিদের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে খাওয়ার একটি কৌশল। তারা আরো বলেন আমরা যেভাবে আছি সেভাবেই থাকতে চাই। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কোনো দরকার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।