পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিবছরের মতো এবারের রমজানেও দুপুরের পর থেকেই ইফতারকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠে রাজধানী। মাথায় টুপি লাগিয়ে ইফতার বিক্রেতারা পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। বেলা যতই গড়ায়, ততই বাড়ে ক্রেতার সমাগম। কি ফুটপাত, কি পাঁচতারা রেস্টুরেন্ট, পাড়া-মহল্লার গলিপথেও ইফতারির ছোট-বড় দোকান।
কোথাও কোথাও রাস্তা দখল করে বসানো হয়েছে ইফতারির দোকান। বিভিন্ন রঙের সামিয়ানা, বাঁশ আর টেবিল বসিয়ে পুরো ফুটপাত দখলে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সর্বত্রই ক্রেতাদের আকর্ষণে চলছে বাহারি রঙ, আর স্বাদের ইফতারি আইটেম তৈরির প্রতিযোগিতা। দুপুর থেকে ইফতারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পুরো রাজধানী এক ব্যস্ত ইফতারের নগরীতে পরিণত হয়। বেইলী রোড, চকবাজার ও হাতিরপুর এলাকায় নবাবী ঘিয়ে ভাজা বোম্বে জিলাপী, রেশমী জিলাপী, নবাবী স্পেশাল ফির্নি, নবাবী ক্ষিরসা, ফালুদা, নবাবী টানা পরোটা, কাশ্মিরী নবাবী পরোটা, চিকেন রেশমী কাবাবসহ চকবাজারের ‘বড় বাপের পোলাই খায়’ বেশ জনপ্রিয় ইফতারি। বেইলী রোডের ইফতার ক্রেতা মাসুদ পারভেজ হাবিব বলেন, আজকে রহমতের প্রথম দিন।
আর এইদিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করবো। যার জন্য রেশমী জিলাপী, নবাবী স্পেশাল ফির্নি, নবাবী ক্ষিরসা ফালুদা, কাশ্মিরী নবাবী পরোটা কিনলাম। চকবাজারের ইফতারি ঐতিহ্যগতভাবেই বিখ্যাত। কিন্তু সেখানে পরিবার নিয়ে ইফতার করতে গেলে অনেক যানজটের মধ্যে পড়তে হয়। তাই ৫-৭ রোজায় সেখান থেকে ইফতার কিনবো। এদিকে ধানমন্ডি, পলাশী ও আজিমপুর এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ইফতার সাজিয়ে দোকানিরা মেতে উঠেছেন। ধানমন্ডির এক ইফতার বিক্রেতা জানান, আমরা যত রকমের ইফতারের আইটেম তুলে এনেছি, তাতে সাধারণ ক্রেতাসহ সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবো। যেমন- আমাদের কাছে বিশেষভাবে পাবেন মাটন লেগ রোস্ট, স্পেশাল গরুর তেহারি, স্পেশাল ফালুদা, নবাবী বোরহানীসহ বহু পদের খাবার।প
চকবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেলা ৩টা থেকেই জমে উঠেছে চকবাজারের ইফতারি বাজার। পুরান ঢাকার বাহারি ইফতারের গন্ধ যেন ক্রেতাদের আরও বেশি করে ইফতারের আইটেম কিনতে বাধ্য করছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে এসেছেন ভোজন রসিকরা। উত্তরা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা অনেকেই ইফতারি কিনতে। তারা জানালেন টানা কয়েক বছর ধরে প্রথম রোজাসহ প্রায় রোজাতে চকবাজার থেকে ইফতার কিনে নিয়ে যান। চকের ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’, দই বড়াসহ অনেক খাবারের লোভেই নতুন ঢাকার খাদ্য রসিকরাও ছুটে আসেন পুরান ঢাকার ইফতারি বাজারে। সেলিম বাবুর্চি জানান, এবার নতুন আইটেম হিসেবে তিনি এনেছেন বড় সাইজের আস্ত মুরগির রোস্ট। এর প্রতিটির দাম রাখা হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া তার আরেকটি নতুন মুঘল আইটেম ‘আনাম খাসি’ ছোট আকারের আস্ত খাসির রোস্ট। দাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা। অন্যান্য আইটেমের মধ্যে তিনি বিক্রি করছেন কোয়েল পাখির রোস্ট প্রতি পিস ৮০-১০০ টাকা এবং চিংড়ি প্রতি পিস ২০০-২৫০ টাকা।
চকবাজারের মজাদার অন্যান্য আইটেমের মধ্যে আরও রয়েছে ডিম চপ পিস ১৫, কচুরি এক কুড়ি ৩৫, সমুচা পিস ৫-১০, পনির সমুচা পিস ৫, পেঁয়াজু পিস ৪-৫, আলুর চপ পিস ৫, বেগুনি পিস ৪-৫, চানাবুট কেজি ১৩০, ডাবলি কেজি ৫০, মুরগির রোস্ট পিস ১৫০-১৮০, খাসির পায়ের রোস্ট পিস ৩০০-৩৫০ ও সাসলিক পিস ৩০ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।