বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুগত্যে পরিচালিত দল। অথচ আওয়ামী লীগকে ধর্মহীন এবং ধর্মপ্রাণদের থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দল প্রমাণ করতে অনুপ্রবেশকারী বামপন্থীরা ওলামা লীগের বিরুদ্ধাচারণ করছে। এরা আওয়ামী লীগের ভালো চায়না। জনবিচ্ছিন্ন কিছু বামপন্থীদের ওলামা লীগ বিরোধী ষড়যন্ত্রে কখনোই সফল হবেনা। নেতৃবৃন্দ বলেন, ওলামা লীগের দাবী ও কর্মসূচির কারণে জামাত-হেফাযত কোন ইস্যুই খুঁজে পায়না। বামপন্থী ইসলাম বিদ্বেষীদের কারণে অতীতেও আওয়ামী লীগকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। সাম্প্রতি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী বামপন্থী এবং কিছু মিডিয়া ওলামা লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ওলামা লীগ বাদ দিয়ে নতুন সংগঠন করা মানে স্বাবিরোধী বক্তব্য- এবং বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা। কারণ আওয়ামী লীগের নীতি, আদর্শ অনুযায়ী যদি অসাম্প্রদায়িক অঙ্গসংগঠন বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন থাকতে হয়- তাহলে ওলামা লীগ বাদ হয় কী করে। কারণ ওলামা লীগ খোদ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা দেয়া সংগঠন। সুতরাং ওলামা লীগে শুদ্ধিকরণ হতে পারে কিন্তু বাদ দেয়া যায় না। তারা বলেন, ওলামা লীগ কারো কাঁধে ভর করে চলার মুখাপেক্ষী নয়। ওলামা লীগ মহান আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করে ধর্মপ্রাণদের উপর ভিত্তি করে চলার সংগঠন।
তারা বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই ১৯৬৯ সালে আওয়ামী ওলামা পার্টি গঠন করেন। যা ১৯৯৬ সালে এসে যা বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগে রূপান্তরিত হয়। সুতরাং ওলামা লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুধু ভাতৃপ্রতিম সংগঠনই নয় বরং তারও অনেক উর্ধের সংগঠন। এদেশে ধর্মপ্রাণ মুছুল্লীদের শিকড় যত গভীরে প্রোথিত ওলামালীগের শক্তি তত বেশী গভীরে। সুতরাং ফু দিয়ে ওলামা লীগকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তারা বলেন, ২০০২ সালে চার দলীয় জোট হাওয়া ভবনের উস্কানীতে পুলিশ যখন ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর করে কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। তখন বর্তমান সেতু মন্ত্রী ওলামা লীগকে ফোন করে বলেন, হুযূর, আওয়ামী লীগ অফিস বর্তমানে কেবল আপনারাই চালু করতে পারবেন। তখন একমাত্র ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা পীরজাদা পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা হাবীবুল্লাহ রুপগঞ্জী, মাওলানা শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরীসহ আরো অনেক নেতাকর্মী রমনা মসজিদে নামায পড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে কুরআন শরীফ পাঠ করে মীলাদ শরীফ পড়ে অফিস চালু করেন। ২০০৪ সালে রাসেল স্কোয়ারে হরতালের সময় বিএনপি জামাত জোটের পুলিশী পিটুনী, জেল জুলুম ওলামা লীগের নেতাদেরই সহ্য করতে হয়েছিল। ওলামা লীগের ১০ জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখানে বর্তমান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শাহজাহান খান, সেক্রেটারী আব্দুল জলীলসহ আরো অনেক নেতারা ছিলেন। সেক্রেটারী আব্দুল জলীল ভাই আমাদের নেতাকর্মীদের জেল থেকে বের করে আনেন। এখন বলা হয় ওলামা লীগ আমাদের কেউ না। ওলামা লীগের বিরুদ্ধে বিষোধগার করা হয়! মূলত ওলামা লীগের ঋণ কখনো কেউ শোধ করতে পারবেনা। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বক্তব্য “যে দেশের মানুষ জমি বিক্রি করে হজ্জে যায় সে দেশে ইসলামকে অবজ্ঞা করে রাজনীতি করা যায়না”। আমরা বঙ্গবন্ধুর এ চেতনা মোতাবেক নিঃস্বার্থভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাব। ইনশাআল্লাহ!
বিবৃতি দাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী ওলামা লীগের প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, পীরজাদা, পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। সাধারণ সম্পাদক -আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, কার্য নির্বাহী সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, আলহাজ্জ লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক্ব, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।