Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ছায়া সংসদে বক্তারা সব দলের ভিশনই জনগণের কল্যাণ

| প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সব দলের ভিশনই যাতে জনগণের কল্যাণে আসে। তবে আমাদের দেখতে হবে ক্ষমতায় যাবার পর যাতে এসব ভিশন বাস্তবায়িত হয়। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে তখন নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রধান দুই দলের অবস্থান জাতিকে শংকিত করছে। রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিএনপি’র ভিশন-২০৩০ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে সংসদ ও সংবিধানই সর্বোচ্চ। সংবিধানেই সব নির্দেশনা দেওয়া আছে দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকার দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যার জন্য সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রবর্তন করতে হবে। ভিশন-২০৩০ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটি বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষমতায় যেতে হবে। তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তবে ভিশন-২০৩০ আওয়ামী লীগের ভিশন ২০২১-এর অনুকরণ মাত্র। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভিশন-২০৩০ কে অনেকেই ফাপানো বেলুন হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিলেন যে কয়েকদিন পর এটি চুপসে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বিএনপি যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় নাও যায়, যারা ক্ষমতায় থাকবে তাদের তা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। ভিশন-২০৩০ তে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সামাজিক চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন রাষ্ট্রের চুড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। সেজন্য আগামী একাদশ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয় তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যে কোন ভিশনই মানুষকে আশাবাদী করে। তাই জাতি আশায় বুক বেঁধে আছে কখন বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে সম্প্রীতির রাজনীতি জায়গা করে নেবে। সেই লক্ষ্যে বিএনপি’র ভিশন-২০৩০ কিংবা আওয়ামী লীগের ভিশন-২০২১ অথবা ২০৪১ যাই হোক না কেন সব ভিশনই বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গলের কথা বলছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক সমাধানে আসতে হবে আর তা না হলে সকল ভিশনই ব্যর্থ হবে।
অনুষ্ঠানে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। বিচারক ছিলেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক আবু রইস এবং শিরিনা বিথী। প্রতিযোগীতা শেষে প্রতিযোগীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ