Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগ নেতার বউ নিয়ে খেলা

| প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা: রাজশাহীর তানোরের সরনজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাতের বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রীকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে টাকা আতœসাৎ, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন, অন্তঃস্বত্ত¡া, বিয়ে অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ খবর সাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। চলতি বছরের ২২ মে প্রতারণার শিকার ওই কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার সাদাতকে আসামি করে রাজশাহী চীফজুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেছেন। এদিকে মামলার খবর জানতে পেরে মামলা তুলে নিতে সাদাত ওই কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। এতে ওই ছাত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। ওই ছাত্রী তার ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরী জিডি করেছেন।
ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, বিগত ২০১৫ সালের দিকে সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে একই এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর কাছে থেকে কয়েক দফায় প্রায় দু’লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সাদাতের দ্বারা এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃস্বত্ত¡া হয়ে পড়ে ও তার দৈহিক অসঙ্গতি দেখা দিলে ঘটনা জানাজানি হয়। আর এই অপকর্ম আড়াল করতে সাদাত ওই ছাত্রীকে গর্ভের সন্তান নষ্টের পদ্ধতি গ্রহণ করায় ও বিয়ে করে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সাদাত ওই ছাত্রীকে বিয়ে করে ঘটনা গোপণ রাখে ও বিয়ের মাত্র ১৮ দিন পরেই তার অমতে সাদাত এক তরফা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। আবার সাদাত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা প্রায় পাচ মাস গোপণ রাখতে ওই ছাত্রীকে বাধ্য করেন এবং এর মাঝেও মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে মেলামেশাও করে বলে প্রচার রয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাস পরেও যখন কোনো কুল-কিনারা হচ্ছে না বরং তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই ছাত্রী আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে অসহায় এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার এমন ছিনিমিনি করা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার সাদাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার মামা ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি। গত ইউপি নির্বাচনে মামা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। ভোটে প্রভাব ফেলার জন্য ওই কলেজ ছাত্রীকে তার পিছনে লেলিয়ে দেন প্রতিপক্ষের লোকজন। ফলে নিরুপায় হয়ে তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন। তবে মেয়েটির চরিত্রহীন বলে পরে তিনি তাকে তালাক দেন। এব্যাপারে তানোর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, গত বুধবার বিকেলে তানোর থানায় জিডি করেছেন ওই কলেজ ছাত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ