পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমেছে। তবে বেড়েছে নিষ্পত্তির হার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলা কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ সময়ে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্য আমদানির এলসি বেশি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। অন্যদিকে এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ২ হাজার ৩৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ২৬২ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক কমে গেছে। তবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয় ৭৬ কোটি ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৩০ কোটি ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এই পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ২২৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এ সময়ে পেট্রোলিয়ম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গেল অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ছিল ২২০ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর এ সময়ে ১৯৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিষ্পত্তি হয়েছে। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এ হিসাবে মূলধনী যন্ত্রপাতির নিষ্পত্তি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শিল্পের কাঁচামালের আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ ও ২ দশমিক ০২ শতাংশ। এ সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৯৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৩৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৯১০ কোটি ৮২ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৯২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।