Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাস্কর্য অপসারণে সরকারের হাত নেই -ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার :সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণে সরকারের কোনো হাত নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এটি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত।
গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত করার কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন কাদের। মন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান ও ঈদে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সড়কে ভাসমান দোকান পাট ও দখল উচ্ছেদ করতে হবে। এজন্য হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে থাকা দাড়ি পাল্লা সরিয়ে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তির আদলে স্থাপন করা হয় ভাস্কর্য। এটি স্থাপনের পর থেকেই তা অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন। গত ১০ এপ্রিল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলামাদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন না এই ভাস্কর্য সেখানে থাকা উচিত। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। গত ১৫ এপ্রিল বিচারপতিদের বাসভবন উদ্বোধন উপলক্ষে কাকরাইল গিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন প্রধান বিচারপতিও। সেখানে এই অনুষ্ঠানের পর তার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। এর দেড় মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়। এর নির্মাতা মৃণাল হকও এ সময় সঙ্গে ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন,সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্য অপসারণের এখতিয়ার সরকারের নেই, এটি সুপ্রিম কোর্টের বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। ভাস্কর্য অপসারণ সরকারের বিষয় নয়, এটা একেবারে কোর্টের এখতিয়ার।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নজিরবিহীন উন্নয়নে বিএনপি আজ হতাশ। হতাশা থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠছে। আচার আচরণ ও কথাবার্তায় বেপরোয়া, মফস্বলে কোন সভা করতে গেলে তারা একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করছে। লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন রমজান ও ঈদে মানুষের দুর্ভোগ সহনীয় মাত্রায় রাখতে সড়কে ভাসমান দোকানপাট ও দখল উচ্ছেদ করতে হবে। এজন্য হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে হাইওয়ে ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদসহ পুলিশ প্রশাসন, সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ