Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটল ও করলার বাম্পার ফলনে শার্শায় কৃষকের মুখে হাসি

| প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস
যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা ও বেনাপোলের বিভিন্ন হাট-বাজারে পটল ও করলার বাম্পার ফলন হযেছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এ বছর পটল ও করলার ফলন ভালো হয়েছে। আর দামও গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো। ফলে হাসি ফুটেছে এই অঞ্চলের কৃষকদের মুখে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পটলের হাট বসে বাগআঁচড়া ও বাহাদুরপুর বাজারে। দুই হাটে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ হাজার মণ পটল আর দেড় থেকে দুই হাজার মণ করলা কেনাবেচা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাগআঁচড়া বণিক সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কবির বকুল বলেন, ‘হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয় এই দু’হাটে। সোম ও বৃহস্পতিবার পটলের বাজার জমজমাট থাকে। তবে অন্যদিনও কম বেশি বেচাকেনা হয়।’ বেনাপোলের বাহাদুরপুর গ্রামের চাষি ফরিদ গাজি বলেন, ‘আগে চার-পাঁচ টাকা দরে পটল বেঁচতাম। আজ বেঁচেছি ২২ টাকা দরে। পাঁচ বিঘা জমিতি চাষ করে এই পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার টাকার পটল বেঁচছি। আরও লাখ টাকার পটল বেচার আশা আছে।’ একই গ্রামের উচ্ছে চাষি আবুল হোসেন বলেন, ‘আগে ২০-২৫ টাকা দরে উচ্ছে বিক্রি করতাম। এখন ৩০-৩৫ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে। রোজায় এর চাহিদা ও দাম আরও বাড়বে।’ কুষ্টিয়ার পাইকার আতিয়ার রহমান বলেন, ‘বাজারে পটলের ও করলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দাম অন্য অনেক সময়ের চাইতে বেশি। দাম পেয়ে কৃষকরা বেজায় খুশি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, এ বছর শার্শায় ৩২০ হেক্টর জমিতে বারী-১ ও বারী-২ সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের পটলের এবং ৮০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় পটল আর করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মধ্যে পটল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আর এ মৌসুমে আশানুরূপ দাম পেয়ে কৃষকরা দারুণ খুশি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ