রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় এবার ১৭ হাজার ৩৯৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমের প্রচুর গুটি দেখা যায়, তবে সময়মত বৃষ্টির অভাবে প্রচুর আমের গুটি ঝরে যায়। তারপরও আমের ফলন আশাতিত হবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। এবার মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে, যা থেকে উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর, মহম্মাদপুর উপজেলায় ১৭৫ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। যার থেকে হেক্টর প্রতি ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের থেকে জানানো হয়। েেবশ কিছুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায় ভিত্তিতে আমের চাষ শুরু হয়েছে। তবে আমের পরিচর্যার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা না থাকায় মাগুরার আম চাষিরা প্রতি বছরই ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। প্রতি মৌসুমে আম গাছের মুকুল দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত এ মুকুল থেকে পরিচর্যা জ্ঞান না থাকা এবং কৃষি বিভাগের এ ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা না থাকায় কৃষকদের ভাগ্যে আম জোটেনা। এবার অধিকাংশ গাছে আমের গুটি প্রচুর দেখা যায়। কিন্তু গুটিগুলো ঝরে যায়। আম মানুষের কাছে খুব প্রিয় ফল এবং এর থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয় বাগান মালিকরা। আর এ জন্যে আম চাষে উৎসাহী হয়ে মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান গড়ে তুলেছে। বিশেষ করে মাগুরায় ফজলী, ল্যাংড়া, হীম সাগর, আ¤্রপালী, গোপাল ভোগ, বোম্বাই, লাখনাই, তোষা প্রভৃতি জাতের আমের আবাদ হয়। জেলার শত্রæজিৎপুর, বিনোদপুর, কুচিয়ামোড়া, ইছাখাদা, হাজরাপুর, রাঘবদাইড়, খালিমপুর, আলাইপুর, হাজীপুর, রাওতড়া, কাশীনাথপুর, বরিশাট, বারইপাড়া, শ্রীকোল, কানুটিয়া, গ্রামে আমের বাগান গড়ে উঠছে। আম চাষীরা এবার আমের গুটির ব্যাপকতা দেখে উৎফুল্ল হয়ে নানান স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু আমের গুটি ছোট অবস্থায়ই ঝরে পড়ায় তাদের আশায় বালী পড়ে প্রায় প্রতি বছর। বৃষ্টির অভাবে উৎপাদন কম হবে। আম গাছের নিচে গেলে শুধু ঝরে পড়া আমের গুটি দেখা যায়। এ গুটি আম কোন কাজে অসছে না। গাছ মালিকের সামনে তার ফলান আম ঝরে যায় কিন্তু কি করে আমের গুটি রক্ষা করা যায় সে ব্যাপরে তাদের অনেকেরই কোন জ্ঞান নেই। মাগুরা জেলায় আমের চাষকে উৎসাহিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে তাদের ওপর দেয়া সরকারি দায়িত্ব যতাযথ ভাবে পালন করা জরুরী বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেণ। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে কার্যক্রম বন্ধী করে না রেখে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগকে কাজ করতে হবে কৃষকদের স্বার্থে। তাহলে কৃষকরা হবে উপকৃত অপর দিকে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।