Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই বছরেও নির্মিত হয়নি বন্যায় ভেঙেপড়া রামডাকুয়া ব্রিজ

দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের রামডাকুয়া ব্রিজটি বন্যায় ভেঙ্গে পড়ার দুই বছর পার হলেও পুনরায় ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ২০ গ্রামের জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যার কারণে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও পথচারীদের যাতায়াত দুঃর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ২০১৩ তৎকালিন এমপি কর্ণেল ডাঃ আব্দুল কাদের খান ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান ও স্টিমেট ছাড়াই গোয়ালন্দ ছড়া সংযুক্ত তিস্তার নদীর প্রশাখার উপর রামডাকুয়া নামকস্থানে ১৪০ ফিট দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন নিজের তত্ত¡াবধানে। এরপর চলাচলে সুবিধা হলেও ভারি যানবাহন চলাচল করার সময় ব্রিজটি কাঁপতো। তার পরেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত সুন্দরগঞ্জ পৌর সভা, দহবন্দ, বেলকা, তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন ও পাশর্^বর্তী উলিপুর উপজেলার বজরা ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের লোকজন। ওই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতো ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালের প্রথম দফা বন্যায় ব্রিজের দুই পাশ ধসে পড়ে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় স্রোতের তোড়ে ব্রিজটি সম্পূর্ণরুপে ভেঙ্গে দেবে যায়। এরপর ২০ গ্রামের লোকের সেই দুর্ভোগ ফিরে আসে। এরই মধ্যে বেলকা ইউনিয়নের আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজি জেলা পরিষদ হতে অনুমতি নিয়ে মনগড়া ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে পথচারীদের পারাপার করে আসছে। কিন্তু ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেলকা চরের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব ও স্মৃতি আক্তার জানান ব্রিজ না থাকায় খেয়াঘাটে এসে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় ক্লাশ ও পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না। ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান চরাঞ্চলে গিয়ে তরিতরকারিসহ বিভিন্ন কাঁচামাল ক্রয় করে বিভিন্ন মাধ্যমে অতিকষ্টে উপজেলা শহরে যেতে হয়। কাঁচা মাল বহনে খরচও হয় বেশি। মাঝে মধ্যে লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হয়। ব্রিজ নির্মাণ হলে এটা হতো না। খেয়াঘাট চালক মজিবর রহমান মজি জানান সাধারণ যাত্রী ৫ টাকা, বাইসাইকেলসহ ১০ টাকা ও মোটরসাইকেলসহ ২০ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। পৌর সভার মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার পরপরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ না পাওয়ায় ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর জানান রামডাকুয়া ব্রিজটির স্টিমেট প্ল্যান তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। ইউএনও এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করলে ব্রিজটি নির্মাণ করা খুবই জরুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ