Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাম্পার ফলনেও ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

| প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার অন্যতম বৃহত্তর গাজনার বিলের পাকা ইরি ধান ঘরে তুলতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। জেলার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিলের জমিতে এবার ইরি ধানের বাম্পার ফল হয়েছে। তবে আগাম অতি বৃষ্টি এবং ত্রিমোহনী এলাকায় স্থাপিত পাউবো’র সুইস গেট দিয়ে যমুনা নদীর পানি আসায় বিলের রাস্তা-ঘাট কর্দমাক্ত হওয়ায় কৃষকরা ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অপরদিকে বিলের নিম্নাঞ্চলের জমিতে পানি ঢোকার কারণে ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে অধিক মজুরী।
সুজানগর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিস্তৃত গাজনার বিলের ১৩শ’ হেক্টর জমিতে ইরি ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় আর সঠিক সময়ে সার বিষ ও সেচ দেওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা ধানা কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্র মতে প্রতি বিঘা জমিতে ধানের ফলন হয়েছে ১৫/১৬ মণ। এদিকে সা¤প্রতিক সময়ের অতি বৃষ্টিতে বিল অঞ্চলের রাস্ত-ঘাট কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। বিলপাড়ের ভুক্তভোগী কৃষক আলহাজ খান জানান, অন্যান্য বছর বিল থেকে ধান কেটে শ্রমিক দিয়ে ঘরে তুলেছি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির পানিতে বিলের রাস্তা-ঘাট কর্দমাক্ত হওয়ায় শ্রমিক দিয়ে ধান ঘরে তোলা যাচ্ছে না। মহিষের গাড়ীর সাহায্যে ধান ঘরে তুলতে হচ্ছে। অনেক সময় মহিষের গাড়িও কাদা-পানিতে আটকে যাচ্ছে। পাশাপাশি অতি বৃষ্টি এবং স্থানীয় ত্রিমোহনী এলাকায় ¯øুইস গেট দিয়ে আসা যমুনা নদীর পানিতে গাজনার বিলের নিম্ন অঞ্চলের বকসির খাল, জমের থলি, মাটি কাঁটা খাল এবং শিয়ার খালের প্রায় ১শ’ হেক্টর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জমির ধান কাটতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শারির ভিটা গ্রামের কৃষক বাদশা শেখ জানান, নিম্ন অঞ্চলের জমিতে কোমড় পানিতে ভিজে ধান কাটতে হচ্ছে। ফলে কৃষি শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে দৈনিক ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা মজুরি। সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক জানান, ইতোমধ্যে ¯øুইস গেট দিয়ে পানি নামতে শুরু করেছে, ফলে ধান কাটতে আর কোন সমস্যা হবে না। দু/একদিনে মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ