Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ৬:১৯ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এসময় আরো অন্তত ১২ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর চালায় দাঙ্গাবাজরা। বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলম ভূঁইয়া মোবাশ্বের জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুবলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় রাহাত ও রউফের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় রামদা, বল্লম, কিরিচসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০/১২জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুতর আহত দুবলা গ্রামের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামাল মিয়া (৫৫) বিকেল ৩টার দিকে মারা যান। তিনি দুবলা গ্রামের হিম্মত আলীর ছেলে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈনুর রহমান সংঘর্ষে জামাল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের মধ্যে রউফের সমর্থক জামাল মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শাš— রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Nur-Muhammad ২৬ মে, ২০১৭, ১২:০৭ এএম says : 0
    প্রিয় ব্রাম্মণবাড়িয়ার ভাই ও বোনেরা, আপনাদের অতি নিকট, পোড়াকান্দি, তিতাস, কুমিল্লা, আমার জন্মভূমি। আপনাদের সুখ দূঃখ কষ্ট আমাকে বেশ আবেগায়িত করে তুলে। আজকে ১ জনের মৃত্যু ও ১২ জন আহতের জন্য আপনাদের মত আমি ও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ছি। এই সভ্য জগতে মানবতা ছেড়ে কেন আমরা আতিপত্যের পিছনে ছুটছি, আসুন কিছুটা ব্যাখ্যা করি। দীপ টেক্সটাইস মিলস লিঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আমি বেশ অনেক বৎসর কর্ম রত ছিলাম। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের ডেনিমের প্রাণ পুরুষ মরহুম এম এ জাহের। শ্রদ্ধেয় জাহের সাহেবের বাড়ী বি,বড়ীয়া। এই বদৌলতে বি,বাড়ীয়ার অনেক ছেলে পেলে এখানে চাকরী করত। প্রায়ই দেখা যেত, বি,বড়ীয়ার কর্মচারীরা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকত। অনেকদিন পর আসলে, কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলত, স্যার মারা মারি করছি, আমরা হাড়ছি/ জিতছি। মামলা হয়েছে। হাজিরা দিয়েছি/ জেলে ছিলাম। যা ই হয়েছে স্যার, আমাদের ইগুই জিতছে। তাই রক্ত ও টাকা গেলে ও কোন দূঃখ নাই। আবার অনেক সময় বলতো, বড় হুজুর ডেকে মিমাংসা করে দিয়েছে, নতুবা ছাড়তাম না স্যার। বি,বাড়ীয়ায় সবার সন্মানিত একজন বড় হুজুর ছিল। কয়েক বৎসর পূর্বে তিনি ১০০ বৎসরের উপর বয়স পেয়ে ইনতেকাল করছেন। এই হুজুরকে সবায় ই মান্য গন্য করত। তবে হুজুরের উত্তরাধিকার এখন ও বিদ্যমান আছে। তাই সরকারের নিকট অনুরোধ করছি, অধিপত্য নয়, সভতা ও মানবতাই বড় এই বানী বি,বাড়ীয়ার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। প্রয়োজনে বড় হুজুরের আদর্শ জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আশা করি এতে ফল আসবে। বি,বাড়ীয়াসহ সকল জনগণের শান্তি কামনা করছি। আর নয় হানা হানি, আসুন সবায় শান্তিতে থাকি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ