Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন নিয়ে বাস টার্মিনাল রণক্ষেত্র

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১:৫১ পিএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভোর ৪টার দিকে শ্রমিকদের দুপক্ষের সংঘর্ষে নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষের সময় তিন নির্বাচন কমিশনার ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয় সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন। ছিনতাই করা হয় ব্যালট পেপার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, ভোট গণনা শুরুর আগেই শ্রমিকদের একটি পক্ষ কেন্দ্রে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অপরপক্ষ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অঙ্কুর সেনসহ তিন কমিশনার আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তিন নির্বাচন কমিশনারকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যালট পেপার বাছাই শেষ হয় ভোর ৪টার দিকে। বাছাইয়ের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা নির্বাচিত হচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত হন প্রার্থীরা। বাছাই শেষে ভোট গণনা শুরু হলে সভাপতি প্রার্থী কামাল হোসেন রবির সমর্থকরা সেখানে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুরো টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় ছবি তুলতে গেলে এটিএন বাংলার রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটনকে লাঞ্ছিত করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও পুলিশ প্রাথমিক পর্যায়ে নিষ্ক্রিয় থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে ৬০জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৪৯৫ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ