বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ষোড়শ সংশোধনী অনুসারে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে তখন কী হবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।
বৃহস্পতিবার বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানিতে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে আজ সপ্তম দিনের মতো শুনানি হচ্ছে। শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আজ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ তার লিখিত বক্তব্য দেন।
শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শাসনতন্ত্রের সবচেয়ে পবিত্র আইন তারা সংরক্ষণ করেন। এখানে এমন কিছু সন্নিবেশিত করা হল, যাতে শূন্যতা সৃষ্টির সুযোগ আছে! কারও (বিচারক) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (সংসদে) না থাকলে তখন কী হবে (বিচার বিভাগের)! এটি ভাবিয়ে তুলেছে।
এদিকে অ্যামিকাস কিউরি রোকন উদ্দিন মাহমুদও তার লিখিত বক্তব্যে একই ধরনের শূন্যতার প্রসঙ্গ তুলেছেন।
বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর ৮ মে শুনানি শুরু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।