Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে আওয়ামীলীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা ঃ ফরিদপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জন্য অগ্নি পরীক্ষা। ফরিদপুরে চারটি আসনেই দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। এর সাথে রয়েছে হাইব্রীড নেতাকর্মীদের কর্মকান্ড। সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগের জন্য খুবই খারাপ সময়। ফরিদপুর-১ আসন মধুখালী-আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী এই আসনে আওয়ামীলীগের ৬ জন প্রার্থী। প্রত্যেকেই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা হচ্ছেন বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক এমপি ও কৃষকলীগের সহ-সভাপতি কাজী সিরাজ, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত সিকদার, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন মুছা, সাবেক ছাত্রলীগনেতা আরিফুর রহমান দোলন ও আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন শাখাওয়াত হোসেন।
ফরিদপুর-২ আসন নগরকান্দা-সালথা। এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগের কান্ডারী সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তিনি অসুস্থ্য থাকার কারণে তার পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী নগরকান্দা-সালথার দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকান্ড দেখাশুনা করতো। কিন্তু বিভিন্ন দুর্নীতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের উপর নির্যাতন, হাইব্রীড নেতাকর্মীদের নিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে দলীয় কোনো নেতাকর্মী তার সাথে নেই। এই আসনটির অবস্থা বর্তমানে খুবই নাজুক। বিপরীতে যারা নির্বাচনের জন্য প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন তারা হচ্ছেন সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, নগরকান্দার আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।
ফরিদপুর-৩ কোতয়ালী। বর্তমান এমপি মাননীয় মন্ত্রী স্থানীয় সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি মন্ত্রী হয়ে ফরিদপুরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তারপরও দলীয় নেতাকর্মীরা চরম ভাবে ক্ষুব্ধ ও হতাশ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ফরিদপুরের আওয়ামীলীগের হেভীওয়েট নেতারা ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পারছে না এবং দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, ভয়ভীতি দেখানে, হামলা-মামলা ও হাইব্রীড নেতাদের নির্যাতনে তারা এখন স্তব্ধ। এরই বহিপ্রকাশ ঘটবে নির্বাচনের ফলাফলে।
ফরিদপুর-৪ ভাংগা, সদরপুর, চরভদ্রাসন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য হলেও নির্বাচন করেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে এবং নির্বাচিতও হয়েছেন। এই আসনে একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। তার আচরণ বিধির কারণে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে তাকে ভোট না দিয়ে নিক্সন চৌধুরীকে নির্বাচিত করেন। এই আসনটিও আওয়ামীলীগের জন্য নির্বাচিত হওয়া কঠিন। এবং দলীয় কোন্দল ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এদিকে আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্বর কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ফরিদপুর ৪টি আসনের বিএনপির প্রার্থীরা। তার মধ্যে ফরিদপুর সদর ৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ