বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রকল্প অনুসারে কাজ না করে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করার পর ১৭ লাখ টাকা ফেরত দিলেন ঠিকাদার। গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোঃ শাহে নূরের আদালতে পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন জামিন শুনানিতে এ তথ্য জানা যায়। শুনানি শেষে চার আসামিকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।
আদালতে দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, শুনানিতে আসামি পক্ষ জানায় মামলা হওয়ার পর প্রকল্পটির ঠিকাদার পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১৭ লাখ টাকা পদ্মা অয়েলকে ফেরত দিয়েছে। বাকি টাকাও ফেরত দেবে। এ সংক্রান্ত প্রমাণ চাইলে আসামির আইনজীবী আদালতকে রশিদ জমা দেন।
জামিন পাওয়া চার আসামি হলেন- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল বিপণনকারী সংস্থা পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম ও প্রকল্পটির পরিচালক মোঃ নুরুল আমিন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা কে এম আবদুর রহিম ও উপ-ব্যবস্থাপক সালেহিন আহমেদ আক্কাস এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোঃ ইউনূস অ্যান্ড কোং’র মালিক আনিসুর রহমান।
খুলনার দৌলতপুরে তিন তলা অফিস ভবন নির্মাণ কাজে প্রকল্প অনুযায়ী কাজ না করে প্রায় ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬ এপ্রিল মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার অন্য আসামি হলেন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সদ্য সাবেক এমডি মোঃ আবুল খায়ের (বর্তমানে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের এমডি)।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, মামলা হওয়ার পর পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন। তাদের জামিন ছিল গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। তাই তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসে জামিনের আবেদন করেন।
আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ১৭ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দেয়ার তথ্য জানার পর আদালত ওই ঠিকাদারের কাছে জানতে চান- তিনি পদ্মা অয়েলের অন্য কোনো প্রকল্পে কাজ করছেন কি না? জবাবে ঠিকাদার জানান- তিনি পদ্মা অয়েলের আরও কয়েকটি প্রকল্পে বর্তমানে কাজ করছেন। মামলা হয়েছে বিধায় আপাতত টাকা ফেরত দিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।