Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে গুলি

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। নামায শেষে বাড়ি ফেরার পথে পায়ে গুলি করে তার কাছে এই চাঁদা দাবি করা হয়। তাকে সময় দেয়া হয়েছে মাত্র ২ দিন। গত সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের জিয়ানগর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গুলিদ্ধি ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, সোমবার আছরের নামায শেষ করে সঙ্গীয় আনসারকে নিয়ে রিকশাযোগে জিয়ানগরে আমার নিজ বাসায় ফিরছিলাম। জিয়ানগর জামে মসজিদের গলির সামনে পৌছলে এসময় একটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পড়া দুই সন্ত্রাসী রিকশার গতিরোধ করে। এসময় এক সন্ত্রাসী আমার হাতে একটি চিঠি দিয়ে বলে আমাকে চিনোস । আমি চিনি না বলার সঙ্গে সঙ্গে সে তার কোমর হতে একটি পিস্তল বের করে আমার বাম পায়ের পাতায় গুলি করে দেয়। আমি যখন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তখন সে আমার কাছে এসে বলে আমাকে চিনছোস। আমার কাছাকাছি আসাতে তাকে আমি চিনতে পারি। তার নাম কুখ্যাত সন্ত্রাসী কেরানীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর পরাগ অপহরনের অন্যতম হোতা ও আদালত থেকে পলাতক আসামি মোক্তার হোসেন আমির ওরফে ল্যাংরা আমির। আমার কাছে দুই দিনের মধ্যে এককোটি টাকা চাঁদা দাবি করে দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার কাছে দেয়া চিঠিতে লেখা রয়েছে, “নুরু আজ তোর জীবনটা ভিক্ষা দিলাম, তোর নাতিকে নিয়ে যেতে পারতাম। আজকের পরও যদি আমাকে ভয় না পাস তাহলে খুন করে দেখাবো। দুই দিনের ভিতর এক কোটি টাকা দিবি। আমি কল করে বলে দিবো, কোথায় কিভাবে টাকা দিতে হবে।” নুরুল ইসলাম আরো জানান, পরাগ অপহরন মামলার প্রধান আসামী ল্যাংরা আমির গত বছরের জুন মাসে ঢাকার আদালত পাড়া থেকে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় । তাকে এপর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ২/৩মাস আগে চুনকোটিয়া এলাকায় শাহানা কিলনিকের মালিক চিকিৎসক দম্পতি ডা: শাহানা ও ডা: নোমান কে চিঠি দিয়ে তাদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে সন্ত্রাসী ল্যাংরা আমির ও তার সহযোগীরা। অবশেষে এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে সে তার পরিবার নিয়ে রাজধানী ঢাকা শহরে চলে যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, চাঁদা দাবি ও গুলি করার ঘটনায় সন্ত্রাসী আমির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম একটি মামলা করেছেন। অনেকদিন ধরেই পুলিশ আমিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ