Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিটিশন কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিকার পাওয়া জনগণের সর্বোচ্চ নাগরিক অধিকার : স্পিকার
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিটিশনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া দেশের জনগণের সর্বোচ্চ নাগরিক অধিকার বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের পিটিশন কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মতামত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে পিটিশন কমিটিকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কমিটি হিসেবে উল্লেখ করে স্পীকার বলেন, যে কোন জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেশের নাগরিকগণ পিটিশনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের গোচরীভূত করতে পারেন। কোন ব্যক্তি কোন বিষয়ে প্রতিকার না পেলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সংসদে পিটিশনের মাধ্যমে বিষয়টি সংসদকে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে। সংসদ সদস্যের প্রতিস্বাক্ষরে প্রাপ্ত পিটিশন গুলো বিবেচনা করে জাতীয় সংসদের স্পিকার সংসদে উত্থাপন করবেন। তিনি বলেন, সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া এবং জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিষয়টি সাধারণ জনগণকে অবহিত করা যেতে পারে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বা অন্য কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তি প্রতিকার না পেলে পিটিশন কমিটির মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া তার সর্বোচ্চ নাগরিক অধিকার। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে প্রচারের পাশাপাশি প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে একবার করে পরপর তিন মাস গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার এবং সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পিটিশন কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরনের জন্য সংসদ সদস্যগণকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে পিটিশন কমিটির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়। ১০ম জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত যে সকল পিটিশন পাওয়া গেছে তা কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদে উপস্থাপন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সংসদের সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা তৈরির জন্য গঠিত পিটিশন কমিটির কাজ আসলে কী হবে- সেই উত্তর খুঁজতে সংসদের এই কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ বছর পর ১০ সদস্যের কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ৪ গত বছরের মে মাসে এই কমিটির প্রথম বৈঠকে কার্যপরিধি নিয়ে প্রশ্নটি সামনে আসে। তার আগে প্রায় দশ বছর সংসদের পিটিশন কমিটির কোনো বৈঠক হয়নি। কোন কোন বিষয়ে একজন নাগরিক কমিটির কাছে পিটিশন করতে পারবে তা নিয়ে ওই বৈঠকে জটিলতা দেখা দেয়।
সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা হয়েছে, এমন কোনো বিষয় গ্রহণযোগ্য হবে না, যা (ক) বাংলাদেশের যে কোনো অংশে আওতাধীন কোনো আইন-আদালতের বিচারাধীন কোনো বিষয় অথবা বিচার বিভাগীয় বা আধা-বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনকারী সংবিধিবদ্ধ ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের কাছে কিংবা কোনো বিষয় অনুসন্ধান বা তদন্ত করার জন্য নিযুক্ত কোনো কমিশন বা তদন্ত আদালতের সম্মুখে নিষ্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে. (খ) যা কোনো বাস্তব বা সিদ্ধান্ত প্রস্তাব, প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্থাপন করা যায়, অথবা (গ) যা আইনের মাধ্যমে কিংবা সরকার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের প্রণীত বিধি, উপ-বিধি বা প্রবিধানের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান দশম জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত তিনটি পিটিশন জমা পড়েছে। সবগুলোই নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কমিটির বৈঠকে সেগুলো আসেনি। পিটিশন গুলো হচ্ছে, মৌলভীবাজারে স্থানীয় একটি রাজনৈতিক সভায় জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য আইনের বিধিমালা প্রণয়ন এবং উচ্চ আদালতে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর বিষয়ে। স্পিকারের সভাপতিত্বে পিটিশন কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,পিটিশন কমিটির সদস্য ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি, শেখ মোঃ নূরুল হক এমপি এবং ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ