Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদের ওপর আস্থা নেই!

সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রধান বিচারপতির উক্তি

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


১৯৭২-এর চিন্তা চেতনা থেকে ২০১৭ সালের চিন্তা চেতনার অনেক পার্থক্য থাকবে। পিছনে পড়ে থাকলে চলবে না। সামনের দিকে তাকাতে হবে। সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানও পরিবর্তন হবে। সরকার অধস্তন বিচার বিভাগ কবজা করে নিয়ে নিয়েছে। এখন চাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টকে কবজা করে নিতে। অধস্তন আদালতের ৮০ ভাগ বিচারকের ওপর কার্যত সপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রন নেই। সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত কার্যত পঙ্গু হয়ে গেছে। একটা জেলায় ৫ মাস ধরে জেলা জজ নেই। বোঝেন বিচার বিভাগ কি রকম কার্যকর আছে?


মালেক মল্লিক : দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ থাকবে না এমন বিধান সম্বলিত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গে টেনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আপনারা নিজেরাই দলীয় সংসদ সদস্যদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। সংসদের ওপর আস্থা নেই! তাহলে বিচারকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে হর্স ট্রেডিং হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন কিনা? আপনারা নিজ দলের সদস্যদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না কেন? গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে দিয়ে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বেধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি চলছে। অপর চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।   আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এসময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও রিট আবেদনকারীপক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ উপস্থিত ছিলেন। আজ বুধবার ফের  শুনানি হবে।
গতকাল পঞ্চম দিনের মতো শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, অধস্তন বিচার বিভাগ কবজা করে নিয়ে নিচ্ছেন। এখন চাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টকে কবজা করে নিতে।
অধস্তন আদালতের ৮০ ভাগ বিচারকের ওপর কার্যত সপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রন নেই। সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত কার্যত পঙ্গু হয়ে গেছে। একটা জেলায় ৫ মাস ধরে জেলা জজ নেই। বোঝেন বিচার বিভাগ কি রকম কার্যকর আছে? জেলা জজ না থাকলে বিচার বিভাগ কার্যকর হবে কিনা। উচ্চ আদালতের বিষয়টি সংসদে নিয়ে গেলেন। তাহলে আর কি থাকলো? সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমেরিকার সংবিধান কতবার স্পর্শ করা হয়েছে জানেন?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচার বিভাগ তখনই অকার্যকর হয়ে পড়বে যখন দেশে অরাজকর পরিস্থিতির সৃস্টি হবে। কিন্তু এখনও সে পর্যায়ে নেই দেশ। আমেরিকাতে মূল সংবিধান পরিবর্তন করা হয়নি। সংযুক্ত হয়েছে। আমাদেরও দোষ আছে। আমরা মূল সংবিধান সংশোধন করেছি। তা না করে সংযুক্ত করা যেতো। বিচার বিভাগ বলতে পারে না যে মূল সংবিধানের এই ব্যবস্থা ঠিক না। শুধুমাত্র সংশোধনী সম্পর্কে বলতে পারে। এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ে কিছু কিছু মন্তব্য রুঢ় হয়ে গেছে। আশা করি এগুলো বাদ দেবেন। এসময় আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, সব সময় সংবিধান বাঁচিয়ে রেখেই রায় দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি বাক্য, সেমিকলন আলোচনা করেই রায় দেই।
প্রধান বিচারপতি এস কে বলেন, আমরা সংবিধান মাথায় রেখেই রায় দেবো। আপত্তিকর কিছু থাকলে সেটা বিবেচনা করা হবে। একটি গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে একটি কল্যানকর রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের অনেক কিছু চিন্তা করে রায় দিতে হয়। মানবাধিকার, সংবিধান, আইনের শাসন এসব কিছু বিবেচনায় নিতে হয়। আপনারা সামরিক আইনের কথা বলছেন? এখনও ১৯৮২ সালের আইন রয়ে গেছে। আমরা বিচারকরা চিন্তাভাবনা করি, রাষ্ট্রের কাজের ব্যাঘাত না ঘটে। মন্ত্রী সাহেবরা অনেক কথা বলেন। যা আমরা হজম করছি; করতে পারি। আমি প্রধান বিচারপতি হিসেবে যা বলি তা বিচার বিভাগের জন্যই বলি। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বলে থাকেন যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচারকদের বেতন বেড়েছে। বেতন বাড়লেই কি বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়ে যায়? মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের বেতন বেড়েছে এক বছর আগে। আমাদের এক বছর পর।  
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থাতো সামরিক আইন জারির মাধ্যমে প্রবর্তন করা হয়েছে। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, ১৯৭২ এর মূল চেতনায় ফিরে যেতেই সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী আনা হয়েছে। দেশের স্বার্থে ১৬তম সংশোধনী আনা হয়েছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। ৭ অনুচ্ছেদের চেতনা পুনর্বহালের জন্যই ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাছাড়া বিষয়টি এমন না যে সংসদ সদস্যরা হাত তুললেই বিচারপতি অপসারিত হয়ে যাবেন। এবিষয়ে আইনে পুরো প্রক্রিয়া বলা আছে। সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আইন কয়দিন পরইতো সংশোধন হতে পারে। তাছাড়া এ মামলা (১৬তম সংশোধনী) বিচারাধীন থাকাবস্থায় আপনারা তাড়াহুড়ো করে আইনের খসড়া করেছেন। প্রধান বিচারপতি আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে আইন না করার জন্য বললেন। কিন্তু তা মানলেন না। এখানে তাড়াহুড়োর কি ছিল। সুপ্রিম কোর্টতো সরকারকে শেষ করে দিচ্ছে না। আর্থ সামজিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৭২ এর চিন্তা চেতনা থেকে ২০১৭ সালের চিন্তা চেতনার অনেক পার্থক্য থাকবে। পিছনে পড়ে থাকলে চলবে না। সামনের দিকে তাকাতে হবে। সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানও পরিবর্তন হবে। এটা ব্যালান্স করতে হবে।
প্রধান বিচারপতির এ কথার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলতো সামরিক আইন জারির মাধ্যমে হয়েছে। সেই কলঙ্গ মুছে ফেলার জন্যই ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে।
প্রধান বিচাপরতি বলেন, সামরিক আইনের কলঙ্গ মুছে ফেরতে একমাত্র বিচার বিভাগ ভ‚মিকা রেখেছে।
এসময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, একজন প্রধান বিচারপতিও শপথ ভঙ্গ করে সামরিক আইন প্রশাসক হয়েছিলেন। সংবিধান স্থগিত করেছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই সময়তো অনেক কিছু হয়েছে। যা এখন আপনারাও সংরক্ষন করছেন। শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ রেখেছেন কেন?  জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এর একটি ইতিহাস আছ্।ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হর্স ট্রেডিং হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, তাদের (সংসদ সদস্য) প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না? তাহলে বিচারকদের ক্ষেত্রে হর্স ট্রেডিং হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন কিনা। আপনারা নিজ দলের সদস্যদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না কেন? সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের রিট করার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাদের রিট করার এখতিয়ার নেই।
এসময় বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, এ যুক্তি ঠিক নয়। যারা এসেছেন তারা অপরিচিত আইনজীবী। তারা এ বারেরই সদস্য। বিচার বিভাগে মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তারা এটা করতে পারেন।  
প্রধান বিচাপরতি বলেন, তারা এই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তারা সচেতন নাগরিক। তাদের রিট করার এখতিয়ার আছে। আপনি বলছেন, তাদের এখতিয়ার নেই। তাহলে কি আমি নিজে রিট করবো? এসময় তিনি ভারতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত রায়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ওই মামলায় আবেদনকারী ছিলেন সেখানকার বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।  
শুনানির শেষ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের রায়ে একজন বিচারপতি সংসদ সদস্যদের ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড থাকার কথা বলেছেন। এই বক্তব্য সত্য না হলে তাকে অপসারণের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো উচিত।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন না থাকলেও প্রেসিডেন্ট কি একজন বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারেন?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা নেই। আইনও নেই। আইন না থাকলেও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রেসিডেন্ট একজন বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের এ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা কি বললেন? আইন না থাকলেও প্রেসিডেন্ট একজন বিচারপতিকে সরিয়ে দেবেন? কত হাজার বছর পিছনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশকে? বিচার বিভাগকে কি মনে করছেন? অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা আমার অভিমত। আপনারা বিষয়টি রায়ে বলে দিতে পারেন। এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অপরাপর বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ৮, ৯ এবং ২১ ও ২২  মে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৮ ফেব্রæয়ারি এ মামলায় আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য ১২ জন আইনজীবীকে আদালতের বন্ধু হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাঁদের লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দিতে বলেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে আনতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের  ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। পরে ওই বছরের ২২  সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। পরে সংবিধানের  ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
এ রুলের ওপর শুনানি  শেষে গত ৫  মে আদালত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ১৬তম সংশোধনী অবৈধ বলে রায়  দেন। তিন বিচারকের মধ্যে একজন রিট আবেদনটি খারিজ করেন। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে রায় প্রকাশিত হয় গত বছরের ১১ আগস্ট এবং রিট খারিজ করে  দেয়া বিচারকের রায় প্রকাশিত হয় ৮  সেপ্টেম্বর। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। ওই আপিলের ওপর শুনানি চলছে।



 

Show all comments
  • ইকবাল ২৪ মে, ২০১৭, ৩:৪৯ এএম says : 0
    বিষয়টি খুব একটা ভালো লাগছে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৪ মে, ২০১৭, ৫:৪১ এএম says : 1
    আমি আগে ও বলছি, বিচারপতিরা সংবিধান ও বিবেক দিয়ে রায় দেয়। কথা বলে। বিচারপতিরা রাজনৈতিক দলের পক্ষে বলে না বা বলতে পারে না। আপর পক্ষে সংসদ গণ রাজনৈতিক ভাবে কথা বলে। রাজনীতি নিয়ে চলে। ................................... বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য বিচারপতিদের ক্ষমতা বিচার বিভাগের উপর ই থাকা উচিত বলে জনগণ মনে করে। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২৪ মে, ২০১৭, ১:৫১ পিএম says : 0
    প্রধান বিচারপতি দেশবাসীকে আর একবার বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আইনের শাসন কেমন যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২৪ মে, ২০১৭, ২:০৮ পিএম says : 0
    প্রধান বিচারপতি দেশবাসীকে আর একবার বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আইনের শাসন কেমন যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধান বিচারপতি

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ