Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাস্তা বন্ধের ভোগান্তিতে কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন চার গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লা কোটবাড়ি থেকে ময়নামতি চেকপোষ্ট পর্যন্ত সড়কটি প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সেনানিবাসের পূর্বদিকের সাহেবনগর, গুনানন্দি, রাজেন্দ্রপুর, দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ব্যবহার করে আসছিলেন। এসব গ্রামে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও সেনাবাহিনীতে চাকরি শেষে অবসরে এসে একখন্ড ভূমি কিনে বাড়ি করছেন এমন পরিবারের সংখ্যাও দুই শতাধিক রয়েছে। ওইসব গ্রামের লোকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেনানিবাস এলাকার পূর্বদিকে বাংলাবাজার থেকে ময়নামতির নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ২৪টি গেইট ছিল। কিন্তু পর্যায়ক্রমে ২১টি গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বর্তমানে খোলা থাকা তিনটি গেইট দিয়ে কিছু মানুষ চলাচলের সুযোগ পেলেও অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ ২১টি গেইট বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ভোগান্তি লাঘবে চলাচলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসির সহানুভুতি কামনা করে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী। সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দাবীতে তারা কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে গ্রামের ভুক্তভোগী লোকজন জানান, চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ায় ওইসব গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিসহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কেউ অসুস্থ হলে দ্রæত হাসপাতালে নিতে পারছেন না। বন্ধ গেইটের রাস্তার ওপর অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে দেয়ালের উপর দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় রোগী গাড়ীতে তুলতে হয়। ওইসব গ্রামের ছেলেমেয়েরা সেনানিবাস এলাকায় ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্টবোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্ট বয়েজ এন্ড গালর্স স্কুল, ময়নামতি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, প্রয়াস প্রতিবন্ধী স্কুলে অধ্যয়ন করে। পর্যায়ক্রমে গেইটগুলো বন্ধ হওয়ায় দুই আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুল কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। বাড়ির সরু অলি-গলি,ড্রেন, নর্দমা পেরিয়ে স্কুল, কলেজ, অফিস, হাট বাজারে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে গ্রামের লোকদের। কেবল তাই নয়, এসব গ্রামের কেউ মারা গেলে খাটিয়ায় বহন করে কবরস্থান নেয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। সন্তান ভূমিষ্ঠের সময় ঘনিয়ে এসেছে এমন প্রসূতি মহিলারা চিকিৎসা সুবিধার জন্য শহরে বা শহরের বাইরে স্বজনের বাড়িতে ঠাঁই নিয়ে থাকেন। সবমিলে সুষ্ঠু চলাচলের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিই এখন চার গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে সুষ্ঠু চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে গ্রামবাসীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, গুনানন্দী গ্রামের সাবেক মেম্বার ছেতু মিয়া, কাজী আবদুল মতিন, রাজেন্দ্রপুরের সফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সাহেবনগরের ক্যাপ্টেন অব. নজরুল, হুমায়ুন কবীর, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।



 

Show all comments
  • parvez ২৩ মে, ২০১৭, ১১:০৮ এএম says : 0
    deser sb suzog subidha to oder jnno-i !
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Lutfur Rahman ২৩ মে, ২০১৭, ৬:১৮ পিএম says : 0
    সেনানিবাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন অনস্বীকায। তবে যেখানে যুগ যুগ ধরে সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করে গ্রামের লোকজন যাতায়াত করছে, সেখানে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কতটুক যুক্তিযুক্ত আমার বোধগম্য নহে। উল্লেখ্য যে, ঢাকা সেনানিবাসে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা অবলম্ভন করে জনসধারণসহ পাবলিক গাড়ী যাতায়াত করছে। এক্ষেত্রেও এমন কিছু কাযক্রম গ্রহণ করা যেতে পারত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে মনে করছি। সর্বোপরী সার্বিক বিচার বিশ্লেষনে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভূক্তভোগী/স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে উল্লেখিত বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ এর একটি সুস্থ্য সমাধান কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ