পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে আরব ইসলামিক সম্মেলনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশ গ্রহণকে সমালোচনা করে বলেছেন, আপনারা জানেন যে সৌদি আরবে মুসলিম প্রধান দেশগুলোসহ যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হাজির হয়েছিলেন। তার সম্পর্কে কী বলব; তিনি করেছেন, কী করছেন, তা সবাই জানেন। আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের সেইখানে ট্রাম্প প্রায় সভাপতিত্ব করছেন বলা যায়। সেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে তারা পরিকল্পনা করছেন কীভাবে ইসলামিক উগ্রবাদকে প্রতিরোধ করবে। ইতোমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয়ে গেছে। যেখানে আমেরিকা থেকে সৌদি আবর প্রায় সাড়ে ৭ শত মিলিয়নের অস্ত্র কেনবে। আজ পর্যন্ত যতগুলো বড় ডিল (ক্রয় চুক্তি) হয়েছে এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। তিনি আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা বিশ্বেই আজ বৈরী পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্বজুড়ে অধিকার হরণ করার যে রাজনীতি চলছে, এর মধ্য দিয়ে আমাদেরও যেতে হচ্ছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে হোটেল পূবার্ণীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এ শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে ঢাকা ঢাকা মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ)। মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে খারাপ সময় চলছে। কারণ এখানে গণতন্ত্রের একটা মুখোশ পড়ে আছে। যারা দেশ শাসন করছে একটা মুখোশ পড়ে তারা প্রকৃতপক্ষে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে। শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বললে ভুল হবে একব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা চলছে দেশে। এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। জবাবদিহিতা নেই। একটা সংসদ আছে যেখানে জনগণের সমস্যা সমাধানের কোনো আলোচনা করা হয় না। অধিকার হরণ করবার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গোটা দেশের মানুষ বলতে গেলে কিছুটা জিম্মি হয়ে গেছে এ থেকে মুক্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির নামে যে আক্রমন করা হলো সেটা কার্যালয়ের উপর আক্রমণ নয়, এটা গণন্ত্রের উপর আক্রমন, দেশের মানুষের আক্রমন। আগেই বলেছি এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। দেশে রাজনৈতিক নতুন সংস্কৃতির ধারা তৈরি করার প্রস্ততি চলছিল এটাকে ধ্বংস করে দেয়ার সরকার এই কাজটি করেছে।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের তল্লাশি প্রতিবাদে সারাদেশের মানুষ মুখর হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চেয়েছি। জানি না সরকার অনুমতি দেবে কি দেবে না। প্রত্যাশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াই করছি প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছি এই বলে যে গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম তা নিশ্চয়ই অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাবে।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছ বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী।
এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের সিনিয়র যুগ্ম মাহসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও হাবিব উন নবী খান সোহেল সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা আশা করেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সাংবাদিকরা তাদের পাশে থাকবেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল হুদা, সহ-সভাপতি ইউনুস আলী মৃধা, আবুল হাসান ননী তালুকদার, মো. মোহন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, আলী রেজা রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল, তানভীর আহমেদ রবিন, সাইফুল ইসলাম পটুসহ নবগঠিত ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।