Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বামী হত্যার দায়ে পরকিয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর যাবজ্জীবন

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে : বগুড়ার সদরের পলাশবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই পরকিয়া প্রেমিক প্রেমিকার যাবজ্জীবন কারাদÐ ও প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদÐে দন্ডিত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা বগুড়ার সিনিয়র দায়রা জজ মো: শফিকুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত একজন উপস্থিত ছিলেন ও অপরজন পলাতক ছিলেন।  
দÐপ্রাপ্তরা হলো বগুড়া সদর উপজেলার সাকিন পলাশবাড়ী স্কুলপাড়ার ভিকটিম মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও মৃত হাফিজার রহমান প্রাং এর কন্যা মোছা: নাছিমা বেগম (২৭) (পলাতক) এবং পলাশবাড়ী দক্ষিণপাড়ার মো: নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো: সামছুজ্জামান ওরফে সুর্য (৩০)।
আদালতের প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শফিকুল ইসলাম এর সাথে ব্যবসায়িক সূত্র ধরে পলাশবাড়ী দক্ষিণপাড়ার মো: নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো: সামছুজ্জামান ওরফে সুর্যের পরিচয় হয়। বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে শফিকুলের স্ত্রী মোছা: নাছিমা বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উক্ত অবৈধ সম্পর্ক চলাকালিন ২০ ফেব্রæয়ারী ২০১৫ দিবাগত রাত ১০টায় শফিকুল ও সূর্যকে তার শয়ন ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় এ জন্য আসামী সূর্য ও নাছিমা শফিকুলকে গলা টিপে হত্যা করে দুইজন শফিকুলের লাশ ধরাধরি করে পাশে কলার বাগানে ফেলে দিয়ে আসে। পরদিন খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন। ময়না তদন্ত রিপোর্টে শফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট আসলে এস আই গোলজার হোসেন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এস আই আব্দুর রাজ্জাক তদন্তভার গ্রহণ করে আসামী নাছিমা বেগম ও সামছুজ্জামান ওরফে সুর্যকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা শফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে এবং বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাজ্জাক ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে গতকাল আদালত দুইজনকে দÐ প্রদান করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকউিটর (পিপি) এ্যাড. আব্দুল মতিন ও আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাড. গোলাম রব্বানী খান রোমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ