Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : ঠাকুরগাঁওয়ের একটি স্কুলে শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর নিয়োগের আগে কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়ে বিপাকে পরেছেন চাকুরি থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে কোন টাকা নেয়া হয়নি। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের আর্ট গ্যালারিতে অবস্থিত ফ্রীড মাতৃছায়া অটিষ্টিক শিশু নিকেতন নামে একটি স্কুল ২০১১ সালে স্থাপিত হয়। কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, স্কুলটিতে অটিষ্টিক শিশুসহ শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ২২৬জন। এর বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারি রয়েছে ৪১ জন। কিন্তু কাগজে কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুইশতাধিকের উপড়ে হলেও বাস্তবে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিতি অর্ধেকেরও কম। এই অবস্থায় স্কুলটি এমপিওভুক্ত হলে কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ দেন। যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে স্কুলটিতে জনবল নিয়োগে কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে প্রত্যেকের কাছ থেকে চার লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই সাথে চাকুরি বঞ্চিত ব্যক্তির টাকাও ফেরৎ দিতেও টালবাহানা করছেন কর্তৃপক্ষ। চাকুরি বঞ্চিত জেলা শহরের ইসলামবাগ এলাকার এম এ সেলিম জানান, আমি দীর্ঘ দিন ধরে ফ্রীড মাতৃছায়া অটিষ্টিক শিশু নিকেতনে কাজ করেছি। অসুস্থ্যতার কারনে চাকুরি ছেড়ে দেই। আমার চাকুরি থাকাকালিন সময়ে প্রতিবন্ধি স্কুলটি এপিওভুক্ত হয়। এপিওভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ তাহমিনা আখতার মোল্লাকে অনুরোধ করি, আমার ছেলে শাহাজাহান কবির সুজনকে স্কুলের একটি পদে চাকুরি দিতে। তিনি বিষয়টিতে রাজি হন। তবে নিয়োগ পেতে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। আমি ঋণ মহাজন করে পুরো টাকাই উনার হাতে দেই। কিছুদিন পরে তিনি আবার জানান আরো দেড় লাখ টাকা দিতে হবে নইলে চাকুরি দেয়া সম্ভব না। বাকি টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলের চাকুরি হয়নি। টাকা ফেরত কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। তবুও টাকাটা ফেরৎ পাচ্ছি না। শুধু আমার কাছে নয় যাদের চাকুরি হয়েছে প্রত্যেকের কাছে কম করে হলেও চার লাখ টাকা করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুলের অধ্যক্ষ তাহমিনা আখতার মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষটি এড়িয়ে কাগজপত্র দেখে জানানোর কথা বলেন। এ বিষয়ে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই অসহায় ব্যক্তির টাকা ফিরে পাবার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ