রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : লোহাগাড়ার পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদা না দেওয়ায় সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে স্বশস্ত্র হামলা চালিয়েছে স্থানীয় ফিরোজ কামালের বাড়ীতে। এ ব্যাপারে ১৮ জনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রবাসী ফিরোজ কামাল বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দীনের প্রতিপক্ষের সমর্থনে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। জহির উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর ফিরোজ কামালকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে বলেন, তুমি এলাকায় থাকতে চাইলে আমাকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দিবে এবং প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিবে। এরই ধারাবাহিকতায় চেয়ারম্যান সম্প্রতি উত্তর পদুয়ার পেনন্ডারী পাড়া এলাকায় ফিরোজ কামাল তার নিজ জমিতে মাটি ভরাট ও দেয়াল নির্মাণ কাজ চালানোর সময় সেখানে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের মারধরের পাশাপাশি ফিরোজ কামাল ও তার স্বজনদেরও দা, লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। সন্ত্রাসীরা ফিরোজ কামাল সহ অন্যান্যদের গুরুতর জখম করে চলে যাবার সময় দুইটি মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহত ফিরোজ কামাল বলেন, নির্বাচনে আমি জহির উদ্দীনে পক্ষে কাজ করিনি বলে সে এ পর্যন্ত আমাকে কয়েকটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। আমি কয়েক যুগ ধরে সৌদি আসা যাওয়া করে আসছি। গতবার আমি সৌদি যাবার এক সপ্তাহ আগে আমাকে মিথ্যা মামলায় আটক করিয়ে আমার ভিসা নষ্ট করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জহির উদ্দীনে সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফিরোজ কামাল আরেকজনের জমি দখল করতে গিয়েছিল। আমি সেখানে গিয়ে বাঁধা দিয়েছি এবং বাঁধা দিতে গিয়ে ফিরোজ কামালকে কিল ঘুষি মারতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।