Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুবাইয়ে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির উদ্যোগে ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের পীর ছাহেব, আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ শাহসুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, মুসলিম নর-নারীর জীবন বিধান হল কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যারা দুনিয়াবী জীবন অতিবাহিত করে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। আর ঈমানদাররা সফল ও সৌভাগ্যবান। আজ সারা বিশ্বে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সয়লাব, যার আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে মুসলিম সমাজ। একদিকে কুপ্রবৃত্তি, অন্যদিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এ যেন মুসলিম যুবক-যুবতীর চরিত্রের উপর হায়েনার কালো থাবা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, নফসকে দমন করা, চরিত্র পবিত্র রাখা। আর এজন্য আবশ্যক কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রহ.)-এর জীবন নিয়ে গবেষণা করা। যিনি নিভৃত পল্লীতে আগমন করে বিশ্বব্যাপি মুসলিম যুব সমাজের মাঝে আধ্যাত্মিক বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তাঁর অনুসারীরা অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, লন্ডনের মত দেশে ইসলামী অনুশাসন মেনে তরিক্বতের আবরণে শরীয়তের প্রচার-প্রসার করে যাচ্ছেন।
তিনি গত ১৯ মে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে দুবাই, ডাসকু ক্লাবে হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রহ.)-এর পবিত্র বেছাল শরীফ স্মরণে সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম (রহ.) এবং জমানার রাবেয়া বসরী, ফাতেমায়ে ছানী রূহানী আম্মাজান রাহমাতুল্লাহি আলাইহা এর সালানা ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ঈছালে ছাওয়াব ও এশায়াত মাহফিলে হাজার হাজার মুসলিম জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হযরত গাউছুল আজম (রহ.)-এর রূহানী ক্ষমতা এতই প্রখর যে, তাঁর একটি তাওয়াজ্জুহ যুবকের কলবে আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় হাবীব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার ভালোবাসার জোয়ার সৃষ্টি হয়। তাঁর তাওয়াজ্জুহতে অতিক্রম করতে পারে রূহানী জগতের অনেক সু² ধাপ। এছাড়া বিশ্বব্যাপি শান্তি, শৃংখলা, ইসলামের চির সত্য বাণী পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য তিনি গঠন করেছেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। তিনি উদাত্ত কন্ঠে ডাক দিয়েছে- ‘হে যুবক নামাজ পড়, রোজা রাখ, নবী (সা.)’র ওপর দরূদ পড়, মাতৃভূমি শান্ত কর।’ দেশ, জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য রেখে যাওয়া তরিক্বতের মাধ্যমে হযরত গাউছুল আজম (রহ.)-এর কীর্তি সারা বিশ্বের মুসলিম মিল্লাতের কাছে আজীবন চির অ¤øান হয়ে থাকবে। তিনি মুসলিম নেতৃবৃন্দকে এ মহান মনীষীর দর্শন অনুসরণ করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার আহবান জানান।
আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ সিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, কমিটির শারজাহ শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম ও সচিব মাওলানা মাহাবুবুল আলম বোগদাদী, মাওলানা সেকান্দর বারী প্রমূখ। আমিরাতের সবচেয়ে বড় এই জামায়াতে স্থানীয় আরবি, ভারতি, পাকিস্তানি, বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপস্থিতিতে মাহফিল প্রাঙ্গন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
মাহফিল শেষে প্রধান অতিথি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ