Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভিযোগ করে লাঞ্ছিত হলেন ডেপুটি কমান্ডারসহ ২ মুক্তিযোদ্ধা

মুরাদনগরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ছড়াছড়ি

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুরাদনগর উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার ছড়াছড়ি। যাচাই-বাছাইকালে অভিযোগ করে লাঞ্চিত হলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর (অব:) সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম এবং মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। গতকাল বেলা অনুমান ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইকালে উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা রোধে জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগ করে। এ ঘটনার পূর্বমুহুর্তে একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে পুলিশে সোপর্দ করে যাচাই-বাছাই কমিটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধাগণ জানায়, শুক্রবার অভিযোগ থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করার জন্য পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হানিফ সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদেরসহ ছয় সদস্য কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে এনামুল হক নামের একজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ডেপুটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ার সময় অন্য অভিযুক্তরা এসে জাহাঙ্গীর আলমকে কিল ঘুষি মেরে লাঞ্চিত করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিক পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ সময় আহত জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকাসহ তার গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আতœরক্ষার্থে পুলিশ প্রহরায় সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আর কেউ স্বাক্ষ্য না দেওয়ায় যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি মুক্তিযোদ্ধাদের দুই একবার ভাত খাইয়েছে এমন লোকদেরকেও তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হচ্ছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ দিকে দুপুর অনুমান ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রেই পালাসুতা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর উপর হামলা করেছে কয়েকজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার আত্মীয়-স্বজন। হামলাকারীদের দাবি মোহাম্মদ আলী পক্ষে স্বাক্ষী না দিয়ে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তাদের বাবারা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারছেন না।
এ ঘটনায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা উল্লসিত হলেও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা মর্মাহত। উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তার সবগুলো অভিযোগ সত্য না হলেও প্রায় ৭০ ভাগ সত্য। লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে তার বিরুপ আচরণও অনেকাংশে দায়ী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই নির্ভর করছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষ্যের উপর। জাহ্ঙ্গাীর আলমের উপর হামলার বিষয়ে তিনি ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।   





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ